আমার টান বাজারের বোন
আমার টান বাজারের বোন
মাহ্মুদুল হক ফয়েজ
বেণী মোচড়ানো লাল ফিতা
তপ্ত ঠোঁটে লেপ্টানো লাল লিপস্টিক
কাঁঠাল পাতার ভুষা কাজল
বুকে ঝুলে কষ্টের নোলক ।
নলিনীকে দেখছো তোমরা
নলিনীক আমার বোন ।
টানবাজারের এক কোনের ঝুপরিতে
সাজিয়ে রেখেছে কষ্টের সজ্জা
সুখ বিক্রি করে হৃদয়ে তুলেছে দুখ ।
অন্ধকারে পড়ে থাকে
স্যাঁতস্যাঁতে শরীরে সুগন্ধি মাখে;
সুগন্ধিলোভী ভ্রমর খামচে ধরে
লাফায় লালসায় মত্ত কার্তিকের কুকুর ।
নলিনীকে দেখেছো তোমরা
নলিনী আমার বোন-
অন্ধকারে থেকে থেকে আলোর পথ
খুঁজে পায়নি কোনো দিন ।
সমস্ত পথ রুদ্ধ হয়ে আছে
অভাগির চোখের সন্মুখে ।
সেও একদিন চেয়েছিলো
তৃপ্তির স্বাদ নেবে অফুরন্ত হাওয়ায়
বেঁচে থাকবে আর দশরমণীর মতন,
খোঁপায় তুলবে ফুল
চুমু খাবে গোলাপের নরম পাতায় ;
এই সমস্ত আকাঙ্খা ফেলে, ক্ষুধা তারে
দিয়েছে বাড়ায়ে পতিতার নষ্ট ছাড়পত্র।
নলিনীকে দেখেছো তোমরা
নলিনী আমার বোন-
তার চোখে দেখেছি আগুনের স্ফুলিঙ্গ
একদিন সে জ্বালিয়ে দেবে তোমাদের সমস্ত বৈভব ।
পৃথিবীর সমস্ত সম্পদশালীদের বলে দেবে
ফিরিয়ে দাও আমার আলঙ্কৃত অহঙ্কার,
পৃথিবীর সকল পুরুষকে কাঠগড়ায় ঝুলিয়ে
বলে যাবে, আমার সুখ, যৌনাঙ্গের ব্যথা
সমস্ত ফিরিয়ে দাও, গুনে দাও সুদ ও আসল ।
আমার জঠরে জন্ম তোমার
অশ্লীল অসভ্যতায় ফের আমারই জঠরে
চেপে ধরো অহংকরী নির্লজ্জ সভ্যতা ।
একদিন আমার বোন ফুঁসে উঠবে
তপ্ত আগুনে পুড়ে দেবে সমস্ত পৃথিবী ।
বলে যাবে এই সব-আমার,
কামনার ব্যথা থেকে ভুমিষ্ট সভ্যতার শাবক ।
বন্ধু তোমরা দিওনা বাধা
টানবাজারের বদ্ধপ্রাসাদের চূড়ায়
সুতিকা ত্যানা উড়ায়ে বলবে ধ্বজা ।
বলে যাবে এই আমার বিপ্লব
এই আমার সুপ্ত বাসনা ।
একরাশ কষ্টের অহংকার মেলে
আমার বোন তোমাদের কাছে এসে বলবে,
এই দেখ, ‘শ্বেতশুভ্র যুঁই পাপড়ি
অশ্রুজলে ধোয়া সতী স্বরস্বতি’,
বন্ধুরা, অবজ্ঞায় আবহেলায় তোমরা
মুখ ফিরিয়ে ছুঁড়ে দিওনা তারে।
মাহ্মুদুল হক ফয়েজ
বেণী মোচড়ানো লাল ফিতা
তপ্ত ঠোঁটে লেপ্টানো লাল লিপস্টিক
কাঁঠাল পাতার ভুষা কাজল
বুকে ঝুলে কষ্টের নোলক ।
নলিনীকে দেখছো তোমরা
নলিনীক আমার বোন ।
টানবাজারের এক কোনের ঝুপরিতে
সাজিয়ে রেখেছে কষ্টের সজ্জা
সুখ বিক্রি করে হৃদয়ে তুলেছে দুখ ।
অন্ধকারে পড়ে থাকে
স্যাঁতস্যাঁতে শরীরে সুগন্ধি মাখে;
সুগন্ধিলোভী ভ্রমর খামচে ধরে
লাফায় লালসায় মত্ত কার্তিকের কুকুর ।
নলিনীকে দেখেছো তোমরা
নলিনী আমার বোন-
অন্ধকারে থেকে থেকে আলোর পথ
খুঁজে পায়নি কোনো দিন ।
সমস্ত পথ রুদ্ধ হয়ে আছে
অভাগির চোখের সন্মুখে ।
সেও একদিন চেয়েছিলো
তৃপ্তির স্বাদ নেবে অফুরন্ত হাওয়ায়
বেঁচে থাকবে আর দশরমণীর মতন,
খোঁপায় তুলবে ফুল
চুমু খাবে গোলাপের নরম পাতায় ;
এই সমস্ত আকাঙ্খা ফেলে, ক্ষুধা তারে
দিয়েছে বাড়ায়ে পতিতার নষ্ট ছাড়পত্র।
নলিনীকে দেখেছো তোমরা
নলিনী আমার বোন-
তার চোখে দেখেছি আগুনের স্ফুলিঙ্গ
একদিন সে জ্বালিয়ে দেবে তোমাদের সমস্ত বৈভব ।
পৃথিবীর সমস্ত সম্পদশালীদের বলে দেবে
ফিরিয়ে দাও আমার আলঙ্কৃত অহঙ্কার,
পৃথিবীর সকল পুরুষকে কাঠগড়ায় ঝুলিয়ে
বলে যাবে, আমার সুখ, যৌনাঙ্গের ব্যথা
সমস্ত ফিরিয়ে দাও, গুনে দাও সুদ ও আসল ।
আমার জঠরে জন্ম তোমার
অশ্লীল অসভ্যতায় ফের আমারই জঠরে
চেপে ধরো অহংকরী নির্লজ্জ সভ্যতা ।
একদিন আমার বোন ফুঁসে উঠবে
তপ্ত আগুনে পুড়ে দেবে সমস্ত পৃথিবী ।
বলে যাবে এই সব-আমার,
কামনার ব্যথা থেকে ভুমিষ্ট সভ্যতার শাবক ।
বন্ধু তোমরা দিওনা বাধা
টানবাজারের বদ্ধপ্রাসাদের চূড়ায়
সুতিকা ত্যানা উড়ায়ে বলবে ধ্বজা ।
বলে যাবে এই আমার বিপ্লব
এই আমার সুপ্ত বাসনা ।
একরাশ কষ্টের অহংকার মেলে
আমার বোন তোমাদের কাছে এসে বলবে,
এই দেখ, ‘শ্বেতশুভ্র যুঁই পাপড়ি
অশ্রুজলে ধোয়া সতী স্বরস্বতি’,
বন্ধুরা, অবজ্ঞায় আবহেলায় তোমরা
মুখ ফিরিয়ে ছুঁড়ে দিওনা তারে।