স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা #### মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

ছোট্ট পাতার নাও

চাঁদ পুকুরে ফটিক জলে
পাতার নাওটা দুলে,
লাল পিঁপড়ে হাল ধরেছে
নাও ভিড়াবে কূলে ।
ভর দুপুরে মেঘের কোলে
সূর্য গেল ডুবে,
কালচে রঙে ঢাকলো আকাশ
মেঘ জমেছে পূবে ।
কূল নাইরে ঘাট নাইরে
আঁধার চারিদিক,
দিশাহারা নবীন মাঝি
ঘুরছে দিকবিদিক ।
শান্ত জলে ভীষন বেগে
ছুটলো পূবাল বাও,
হঠাৎ হাওয়ায় উল্টে গেলো
ছোট্ট পাতার নাও ।।

বঁধূ

আমায় দেখে লজ্জা হলো নাকি
বঁধূ তোমার সলাজ মদির আঁখি
নামাও কেন‍‍‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌? তাকাও সমুখ পানে
মনের কথা বলবো কানে কানে।

বালক রাজা

চৌরাস্তার মোড়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি
একটু পরেই ফাটবে বোমা ভাংবে শহর
ভীষন বেগে ছুটবে বাতাস উড়বে ধোঁয়া
গাছ গাছালি উথলে যাবে উবুর হবে ।

চড়ই শালিক কাক পাখিরা মেলবে পাখা
সবাইতো আর উড়তে গিয়ে উড়বে না আর,
কেউবা হঠাৎ থমকে যাবে, কারো যাবে ডানা ভেঙ্গে
খোঁড়া হয়ে কতক আবার হোঁচট খাবে, ছিটকে যাবে।

চৌরাস্তার মোড়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি
চোখ বুজলেই দেখতে যে পাই ঘটছে কিছু,
কিন্ত্ত আমি বালক রাজা ,থামবে ট্রাফিক কোন ভরসায়
ললিপপ আর চুষনী চুষে, সাজে কি আর তামাক সাজা ।।

যাসনে রাধা

কলতলাতে যাসনে রাধা
আর্সেনিকের দোষ,
সাগর পাড়ে বালুর চরে
ঢেউয়ের উথাল রোষ ।

নদীর ঘাটে যাসনে রাধা
নদীর জলে বিষ,
কৃষ্ণ মরে জল কাতরে
দু’ফোটা জল দিস ।।

তুমি

তুমি ছিলে অন্ধ যখন
অহরাত্রি ছিলেম তখন
আমি দু’চোখ মেলে ।
এখন আমি অন্ধ হলাম
দিলে তুমি দিগন্ত ছুঁই
বন্ধ দু’চোখ মেলে ।

তবু দোহাই
এই জড় কর-
একটুখানি দিও সময়
একটু অবসর ।।

স্বদেশের গান

কেন আজ আমাদের দরিদ্র বেশ
মাঠে মাঠে ধান ফলিয়ে মোরা
গড়বো এবার সোনার স্বদেশ ।

বুকে আছে আশা হাতে আছে বল
আমরা নবীনা নব কলরল ;
মাঠে মাঠে ফলবে সোনালী ফসল
সোনার দেশ হবে রূপেতে উছল ।

ক্ষয়ে ক্ষয়ে আমরা হবনা’ক শেষ
গড়বো এবার সোনার স্বদেশ ।

মাঠ হবে আমাদের জীবন বাসর
চাখ হবে আমাদের শানিতের শর
রূপালী কাস্তে প্রেমিক দোসর
বন্ধুতে বন্ধুতে জমবে আসর।

আজ উল্লাসে উল্লাসে ধরি নব বেশ
গড়বো এবার সোনার স্বদেশ ।।

খেলা

কোন খেলা খেলগো রাধিকা
ঘোমটা খসাও বারে বারে
কোন হাসি হাসগো রাধিকা
চোখের আড়ে ঠারে ।।

দুঃখ আমার ভালবাসা

ভালবেসে দুঃখ ছাড়া কি আছে আর
বল সখি বল ।
আকাশটারে ভালবাসি উজাড় করে হিয়া
আমার দুঃখ শুধু হৃদয় থেকে উঠে গুমরিয়া ।
জ্যোৎস্না ছড়ায় সবুজ মাঠে শরীর শুধু গলে
করুন সুরে শব্দ উঠে কাহার পায়ের মলে ।
এক ষোড়শী তাকিয়েছিলো নোলক শুধু দুলে
দৃশ্য দেখে দুঃখে আমার বক্ষ উঠে ফুলে ।
নীল গগনে আলো ফুটে পুন্নিমা চাঁদ উঠে
ভেবেছিলাম তারই সাথে দুঃখ যাবে টুটে ।

দুঃখ আমার ভালবাসা, ভালবাসার শাপ
দুঃখ আমার হৃদয় জুড়ে গভীর ক্ষত পাপ ।।

চন্দ্রাবতী

মেয়ের নাম চন্দ্রাবতী
গুন আছে তার মায়া
চোখের রং কৃষ্ণ কালো
হলুদ বরণ কায়া ।
হাঁটু জল অঞ্জলীতে
রূপালী জল তুলে
উর্দ্ধ পানে ছিটায় সে জল
আপন কথা ভুলে ।

বিজয় সঙ্গীত

বিজয়ের এই দিনে উদ্দাম উচ্ছাসে
তোমাদের মনে পড়ে বন্ধুরা,
জানা অজানা কত রক্ত স্রোতে
জেগে উঠে ফের এই বসুন্ধরা,
তোমাদের মনে পড়ে বন্ধুরা ।

শকুনের শ্বাপদ নখর ভেঙ্গে
হৃদয়ের গাঢ় লাল রক্ত ঢেলে
এনে দিলে সুন্দর স্বদেশ ভূমি
দিকে দিকে সোনালী আলোয় ভরা,
তোমাদের মনে পড়ে বন্ধুরা ।

ফের যদি কোনোদিন শ্বাপদ শকুন
উড়ে এসে নিতে চায় বাঙ্গালীর খুন
তোমাদের সেই পথে হব আগুয়ান
স্বদেশ আমার হোক চির অমরা,
তোমাদের মনে পড়ে বন্ধুরা ।।

দুঃখ আমার ভালবাসা

ভালবেসে দুঃখ ছাড়া কি আছে আর
বল সখি বল ।
আকাশটারে ভালবাসি উজাড় করে হিয়া
আমার দুঃখ শুধু হৃদয় থেকে উঠে গুমরিয়া ।
জ্যোৎস্না ছড়ায় সবুজ মাঠে শরীর শুধু গলে
করুন সুরে শব্দ উঠে কাহার পায়ের মলে ।
এক ষোড়শী তাকিয়েছিলো নোলক শুধু দুলে
দৃশ্য দেখে দুঃখে আমার বক্ষ উঠে ফুলে ।
নীল গগনে আলো ফুটে পুন্নিমা চাঁদ উঠে
ভেবেছিলাম তারই সাথে দুঃখ যাবে টুটে ।

দুঃখ আমার ভালবাসা, ভালবাসার শাপ
দুঃখ আমার হৃদয় জুড়ে গভীর ক্ষত পাপ ।।

ভাবছিলাম চলে যাব

কিছুদিন ধরে আমি ভাবছিলাম চলে যাব
কিন্তু ভাবলেই তো চলে যাওয়া যায়না-
গাড়ি ঠিক থাকে, চাকা গুলোর শরীর ভালো থাকে,
ষ্টিয়ারিং হুইল নাট বল্টু ঠিকঠাক চলন সই হতে হয়।

দরজায় পা দিলে পিছন থেকে বাধা
না দেয়া ভালো; এ রকম কুসংস্কার
বুকের মধ্যে জমা আছে, শিশুকাল থেকে
আজ অব্দি, যাত্রার শুভ প্রাক্কালেও ।

তা ছাড়া পিছনের সব কাজগুলোকে গুছিয়ে নিতে হয় ।
কোনো কাজ ফেলে গেলে মনের ভিতর খুঁতখুঁতে থেকে যায় ।
মুরুব্বিদের সালাম করে দোয়া নিতে হয়
ছোটদের মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে হয়‍ ‘ভাল থাকিস’ ।

মাঝেমাঝে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও যাওয়া হয় না
যেমন আমার পা দু’টোকে নিয়ে যেতে পারি না সন্মুখে,
সুদৃঢ় অথচ অদৃশ্য সিঁড়িতে পা রেখে বলি
‘প্রদীপ কি প্রেসে ব্যাস্ত ? পত্রিকা কবে বেরুবে আউয়াল’?

আমার ভাই আর ফিরবে কি

আমার ভাই আর ফিরবে কি
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

উদার আকাশ ছড়িয়ে রেখেছে হলুদ নক্ষত্র তার
আমার মায়ের সবুজ আঁচল উড়ে
শরীরে তার রক্তের লাল ছাপ আঁকা ।

একদিন এক কাক ডাকা ভোরে
আমার যে ভাই চলে গেছে হলুদ নক্ষত্রের দেশে
কৃষ্ণচূড়ার শরীরে আবার মুখ রাখে তারা
কেকিলেরা ডেকে উঠে বুঝি মিছিলের সূরে ।

বসন্ত মানে হৃদয়ের মিনারে ফুল জমে থাকা
সেই দিন এসে গেছে, কোন মিনারে রাখবো কি ফুল
আয় আয় বাছা বলে উদ্বাহু ছড়িয়ে রেখেছে মা
হলুদ নক্ষত্র থেকে আমার ভাই আর ফিরবে কি !!

অবহেলা

অবহেলা
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

ফুল কেন ছুঁড়ে ফেলে দাও
কেন বেদনা আবার খুলে দাও-
বসন্তে মল্লিকা বনছায়
কেন হেসে খেলে গেয়ে নেচে যাও
কেন বেদনা আবার খুলে দাও ।

চৈতের জোছনা সন্ধ্যাবেলা
দখিনা সমিরণ বয়ে যায়
উদাস নয়নে কারে খুঁজে চাও,
কেন বেদনা আবার খুলে দাও ।।

আমার টান বাজারের বোন

আমার টান বাজারের বোন
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

বেণী মোচড়ানো লাল ফিতা
তপ্ত ঠোঁটে লেপ্টানো লাল লিপস্টিক
কাঁঠাল পাতার ভুষা কাজল
বুকে ঝুলে কষ্টের নোলক ।

নলিনীকে দেখছো তোমরা
নলিনীক আমার বোন ।
টানবাজারের এক কোনের ঝুপরিতে
সাজিয়ে রেখেছে কষ্টের সজ্জা
সুখ বিক্রি করে হৃদয়ে তুলেছে দুখ ।

অন্ধকারে পড়ে থাকে
স্যাঁতস্যাঁতে শরীরে সুগন্ধি মাখে;
সুগন্ধিলোভী ভ্রমর খামচে ধরে
লাফায় লালসায় মত্ত কার্তিকের কুকুর ।

নলিনীকে দেখেছো তোমরা
নলিনী আমার বোন-
অন্ধকারে থেকে থেকে আলোর পথ
খুঁজে পায়নি কোনো দিন ।
সমস্ত পথ রুদ্ধ হয়ে আছে
অভাগির চোখের সন্মুখে ।
সেও একদিন চেয়েছিলো
তৃপ্তির স্বাদ নেবে অফুরন্ত হাওয়ায়
বেঁচে থাকবে আর দশরমণীর মতন,
খোঁপায় তুলবে ফুল
চুমু খাবে গোলাপের নরম পাতায় ;
এই সমস্ত আকাঙ্খা ফেলে, ক্ষুধা তারে
দিয়েছে বাড়ায়ে পতিতার নষ্ট ছাড়পত্র।


নলিনীকে দেখেছো তোমরা
নলিনী আমার বোন-
তার চোখে দেখেছি আগুনের স্ফুলিঙ্গ
একদিন সে জ্বালিয়ে দেবে তোমাদের সমস্ত বৈভব ।
পৃথিবীর সমস্ত সম্পদশালীদের বলে দেবে
ফিরিয়ে দাও আমার আলঙ্কৃত অহঙ্কার,
পৃথিবীর সকল পুরুষকে কাঠগড়ায় ঝুলিয়ে
বলে যাবে, আমার সুখ, যৌনাঙ্গের ব্যথা
সমস্ত ফিরিয়ে দাও, গুনে দাও সুদ ও আসল ।
আমার জঠরে জন্ম তোমার
অশ্লীল অসভ্যতায় ফের আমারই জঠরে
চেপে ধরো অহংকরী নির্লজ্জ সভ্যতা ।

একদিন আমার বোন ফুঁসে উঠবে
তপ্ত আগুনে পুড়ে দেবে সমস্ত পৃথিবী ।
বলে যাবে এই সব-আমার,
কামনার ব্যথা থেকে ভুমিষ্ট সভ্যতার শাবক ।
বন্ধু তোমরা দিওনা বাধা
টানবাজারের বদ্ধপ্রাসাদের চূড়ায়
সুতিকা ত্যানা উড়ায়ে বলবে ধ্বজা ।
বলে যাবে এই আমার বিপ্লব
এই আমার সুপ্ত বাসনা ।

একরাশ কষ্টের অহংকার মেলে
আমার বোন তোমাদের কাছে এসে বলবে,
এই দেখ, ‘শ্বেতশুভ্র যুঁই পাপড়ি
অশ্রুজলে ধোয়া সতী স্বরস্বতি’,
বন্ধুরা, অবজ্ঞায় আবহেলায় তোমরা
মুখ ফিরিয়ে ছুঁড়ে দিওনা তারে।

সঠিক তথ্যের অভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের খাসজমি বিতরণ ব্যবস্থায় ভূমিহীনরা বঞ্চিত হচ্ছে ।

সঠকি তথ্যরে অভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলরে
খাসজমি বতিরণ ব্যবস্থায় ভূমহিীনরা বঞ্চতি হচ্ছে ।
মাহ্‌মুদুল হক ফয়জে

ভূমকিা :- মঘেনা ও বঙ্গপোসাগর ঘঁেসা নোয়াখালীর দক্ষণিাঞ্চল নানান ভৌগোলকি ভাঙ্গাগড়ার মধ্যে অবস্থান করছে । এ অঞ্চলরে মানুষ একদকিে নদী ভাঙ্গনরে শকিার হচ্ছ,ে অন্যদকিে নতুন নতুন ভূমি সাগর বক্ষ থকেে জগেে উঠছ।ে একদকিে মানুষ ভূমি হারয়িে ন:িস্ব হয়ে যাচ্ছ,ে অন্যদকিে খাসজমি পতেওে তারা নানান বড়িম্বনার শকিার হচ্ছ।ে তা ছাড়া এ অঞ্চলরে বপিুল সংখ্যক মানুষ দনিমজুররে কাজ কর।ে প্রায় তারা নত্যি টানাপোড়নরে মধ্যে অভাবি জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছ।ে এখনো অনকেইে যুগযুগ ধরে বংশপরম্পরায় ভূমহিীন অবস্থায় রয়ে গছে।ে যদওি সরকারি নীতমিালায় নতুন খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার অধকিার এইসব ভূমহিীনদরে রয়ছে।ে কন্তিু সরকারি বভিন্নি নীতমিালার বষিয়ে অজ্ঞতার কারনে এরা খাসজমি বন্দোবস্ত থকেে বঞ্চতি হচ্ছ।ে এই সব খটেে খাওয়া মানুষদরে, যাদরে নত্যি চাল আনতে পান্তা ফুরায় প্রতদিনি যাদরে প্রচন্ড হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খটেে দুবলো অন্ন জোগাতে হয়, জীবন যাদরে শত ছন্নিতায় বাঁধা, তাদরে তথ্যরে পছিনে ঘুরে নজিদেরে অধকিার আদায়রে জন্য শক্তি ও সার্মথ্যরে অবকাশ কোথায়।
র্সাবকিভাবে নোয়াখালীর ভূমহিীন সমস্যা অত্যন্ত প্রকট । নদী ভাঙ্গনরে ফলে নোয়াখালীর বভিন্নি জনপদ প্রতনিয়িত ক্ষত বক্ষিত হচ্ছে । এই নদীভাঙ্গনরে কারনে বৃহত্তর নোয়াখালীর সুর্বণচর, হাতয়িা, রামগতি ও কোম্পানীগঞ্জরে বভিন্নি এলাকার কয়কে হাজার মানুষ প্রতবিছর বাস্তু ভটিা হারয়িে প্রতনিয়িত ভূমহিীনে পরণিত হচ্ছে । স্বাধীনতার পরর্বতী কাল থকেে ভূমহিীনদরে খাসজমি বন্দোবস্ত দয়ো শুরু হলওে আজ র্পযন্ত এ অঞ্চলরে বপিুল সংখ্যক ভূমহিীন খাস জমি প্রাপ্তি থকেে বঞ্চতি হয়ে আছ।ে খাসজমি বন্দোবস্ত পতেে যে র্দীঘ প্রক্রয়িা ও জটলিতা রয়ছেে তা ডঙ্গিানো একজন সাধারন ভূমহিীনরে পক্ষে অসম্ভব ব্যপার । নতুন চর জাগলে ভূমহিীনরা সে চরে স্বাভাবকি ভাবে কখনো বসতি পায়না । একটুকরো জমরি জন্য তাদরে অনকে লাঞ্ছনা গঞ্জনা সইতে হয়। কখনো জড়য়িে পড়তে হয় রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষ।ে এখানে আছে ভূমগ্রিাসী জোতদার লাঠয়িাল বাহনিীর অত্যাচার। এরা মধ্যযুগীয় কায়দায় দখল করে নয়ে সরকারী খাসজমি গুলো। সংঘাত সংর্ঘষ হামলা মামলায় হারয়িে যায় ভূমহিীনদরে একটুকরো বাঁচার স্বপ্ন।
এসব কছিুর পরওে বভিন্নি সময় বভিন্নি সরকার ভূমহিীনদরে পুর্নবাসনরে জন্য বভিন্নি র্কমসূচী গ্রহন করছেে । বভিন্নি সরকাররে আমলে বভিন্নি নীতমিালায় ভূমহিীনদরে কছিু কছিু জমি বরাদ্ধ দয়ো হয়ছে।ে তবে প্রায় ক্ষত্রেে অভযিোগ রয়ছেে য,ে এর জন্য ভূমহিীনদরে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়ছে।ে অনকে ক্ষত্রেে দখো গছেে ভূমহিীনদরে নামে বনোমে জোতদাররা অনকে জমি নজিরোই করায়ত্ত করে নয়িছে।ে খাসজমি প্রদান ছাড়াও এরশাদ সরকাররে আমলে গুচ্ছগ্রাম, বএিনপি সরকাররে আমলে আর্দশ গ্রাম এবং আওয়ামী লীগ সরকাররে আমলে আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রভৃতরি মাধ্যমে ভূমহিীনদরে পূর্নবাসনরে উদ্যোগ নয়ো হয়ছে।ে নোয়াখালী সদর ও সুর্বনচররে চর মজদি, চর মহউিদ্দনি , হাতয়িার নঝিুম দ্বীপ সহ বভিন্নি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়ছে।ে কন্তিু এর মাধ্যমে ভূমহিীনদরে মাথা গুঁজার স্থান হলওে তাদরে অধকিাংশরেই জীবন জীবকিার নশ্চিয়তা মলিনে।ি সরজেমনিে দখো গছেে অনকে বরাদ্ধপ্রাপ্ত ভূমহিীনরা আশ্রয়ণ ছড়েে অন্যত্র চলে যতেে বাধ্য হয়ছে।ে
বাংলাদশেরে ভূমবিন্দোস্ত নীতমিালায় ভুমহিীনদরে রয়ছেে অগ্রাধকিার। বভিন্নি সময় সরকার এ বষিয়ে বভিন্নি প্রজ্ঞাপন জারি করে থাক।ে কন্তিু ভুমহিীনরা সে বষিয়ে থাকে একবোরে অজ্ঞ। এ সুযোগে এক শ্রণেীর সুবধিাভোগী লুটরো চক্র ভুমহিীনদরে সে সুযোগ ষোলআনা ভোগ করে নয়ে। ফলে প্রকৃত ভূমহিীনরা থাকে বঞ্চতি অবহলেতি। নোয়াখালী সদররে সল্লা গ্রামরে রক্সিা শ্রমকি আবুল কালামরে(৪৫) শুধু ভটিরি উপর দোচালার একটি ঘর রয়ছে।ে তনিি প্রতদিনি সখোন থকেে পাঁচ ছয় কলিোমটিার দূরে সোনাপুর বাজার এবং এর আসপোশে রক্সিা চালয়িে থাকনে। এছাড়াও বাড়তি কাজ হসিাবে অন্যরে জমি র্বগাও করনে। কন্তিু কভিাবে খাস জমি বন্দোবস্ত পতেে হয় তনিি তা জাননে না। ভূমহিীনদরে জন্য যে সকল প্রজ্ঞাপন জারি হয় তাও তনিি কখনো শুননেনি অথচ ভূমি অফসি গুলোর কাছাকাছি প্রায় তনিি রক্সিার ক্ষপে দয়িে থাকনে। সে অফসি গুলোতো এর অনকে তথ্য থাকলওে তার কাছে তা কখনো পৌঁছনে।ি শুধু শুনছেনে টাকা দলিে জমি পাওয়া যায়। তনিি জানান প্রতদিনি হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খটেে এর জন্য খোঁজখবর নওেয়ারও ফুরসত থাকনো। তনিি আরো জানান, তার মত এ রকম আনকেইে আছনে যাদরে এ বষিয়ে কোনো খবরই নইে। সুর্বণচররে অসংখ্য ভূমহিীন বড়েরি পাশে কোনোরকম মাথাগুঁজার ঠাঁই করে আছ।ে আনকে আসহায় ভূমহিীন নারী ফসলি মাঠে কায়কি শ্রম করে আথবা সরকারী বসেরকারী সংস্থাগুলোর রাস্তা মরোমত বা মাটরি কাজ করে জীবকিা নর্বিাহ কর।ে এদরে আনকেইে উপায়হীন হয়ে ভক্ষিাবৃত্তওি কর।ে এদরে পাশইে ভূমগ্রিাসরিা নানান কায়দায জমি দখল করে আছে কন্তিু এদরে ভাগ্যে একটুকরো জমওি মলিনে।ি বলেী রাণী বনকি(৩৫)দরে সন্দীপরে কালাপানয়িাতে ছলিো বপিুল জায়গা জম।ি প্রায় দশ বছর আগে স্বামী ভূবন চন্দ্র বনকি মারা যায়। নদীতে সব ভঙ্গেে গলেে দুটি কোলরে শশিু নয়িে ন:িস্ব কর্পদক শূন্য হয়ে সুর্বণ চররে শবিচরণ গ্রামরে পশ্চমিে বড়েরি বাঁধে পাশে এসে আশ্রয় ননে। সুঠাম দহেরে বলেীরাণী জানান, গায়রে গতর খটেইে তনিি জীবন যাপন করছনে। কখনো মাটকিাটা কখনো ধান ক্ষতেে বদলার কাজ যখন যা পান তাই করনে। সকাল ৮টা থকেে ৫টা র্পযন্ত কাজ করলে পান ৪০ টাকা এবং সইে সাথে পান এক কজেি চাল। তনিি জানান এত কষ্ট করার পরও কোথায় কভিাবে জমি পাওয়া যায় তা তার জানা নইে। তনিি জানান, শুনছেি জমরি জন্য আসলইে টাকা দতিে হয় তাই কখনো এদকিে আসনেন।ি ডানডিার একটি মাটরি প্রকল্পে তাঁর সাথে আরো অনকে মহলিা এ কাজ করনে। জাহানারা বগেম(৪০), ছকনিা খাতুন(৩৫), নূর জাহান বগেম(৫০), মনিতি রাণী পাল(৩৫), মোহছনো বগেম(৪০) এই সব ভূমহিীন নারীরা কউে জাননো ভূমহিীনদরে জন্য সরকাররে ককিি নীতমিালা রয়ছে।ে অথচ এদরে সামনে থকেইে এদরে অধকিাররে ভূমগিুলো ভূমগ্রিাসীরা খাবলে খাচ্ছ।ে আর এরা থকেে যাচ্ছে চরি দীনহীন দনিমুজুর।ে ধীরে ধীরে ন:িশষে হচ্ছে এদরে জীবনী শক্ত।ি আর র্সবাঙ্গীনভাবে জাতি হয়ে পড়ছে র্দুবল থকেে র্দুবলতর।

বাহনিী নামরে সন্ত্রাসী চক্র:- নোয়াখালীর দক্ষণিাঞ্চলে রয়ছেে বপিুল খাস জমরি ভান্ডার । র্দুগম এলাকায এগুলো নয়িন্ত্রন করছে বভিন্নি বাহনিী নামরে এক সন্ত্রাসী চক্র। এরা সরকারি খাস জমি গুলোকে মাপঝোঁক করে ভূমহিীনদরে কাছে বক্রিি করছ।ে এদরে বরিুদ্ধে বশে কয়কেবার পুলশি অভযিান পরচিালনা করে থাকলওে এরা এখনও এলাকায় সক্রয়ি রয়ছে।ে নবগঠতি সুর্বণচর উপজলোর দক্ষনিে নতুন জগেে উঠা চর নাঙ্গলয়িা নয়িন্ত্রন করছেে বশার মাঝি নামে এক বাহনিী র্সদার। এখানে একটি সরকারী খাস জমতিে বসবাস করছে ভূমহিীন গফুর আলী মানকি(২৬)। তনিি জানান, আতাউর রহমান নামে তাঁর এক নকিট আত্মীয় বশর মাঝরি কাছ থকেে কছিু জমি টাকা দয়িে কনিে নয়ে। এই কনো বচোয় কোনো কাগজ পত্র থাকনো। শুধু দখলে থাক।ে দখল চলে গলে জমওি হারাতে হয়। মানকি জানায়, গত ২০০৪ সালে ঐ আত্মীয় থকেে বারো হাজার টাকা দয়িে এক দাগে পৌনে উনশি পন্ডা জমি কনিছেনে। এই জমি মানকি যতদনি তার দখলে রাখতে পারে ততই তার লাভ। কারন এই জমি খুবই র্উবর। যে কোনো ফসলরে এখানে প্রচুর ফলন হয়। মানকি জানান, এখানে প্রায়ই বাহনিীদরেকে চাঁদা দতিে হয। চাঁদা না দলিে এখানে টকিা যায়না। প্রথম প্রথম দুইশ’ টাকা করে দতিে হতো এখন মাসে একশ’ টাকা করে দতি হয়।জমি বচোকনোতওে এদরেকে টক্সে দতিে হয়। সরকারী জমি কি করে বন্দোবস্ত পতেে হয তার কছিুই তনিি জাননে না। এ বষিয়ে কোনো তথ্যই তার কাছে নইে। মানকি জানান, মাঝে মাঝে বাহনিীর লোকজন এসে হুমকী দয়িে যায়, চরে যদি পুলশিী অভযিান হয়, তারা যদি টকিতে নাপার,ে তাহলে ভূমহিীনদরেকওে তারা টকিতে দবিনো। পুলশি মাঝে মাঝে এসে টহল দলিওে এদরেকে কখনো পায়না। এরা থাকে ধরা ছোঁয়ার বইর।ে

শখিস্তি পয়স্থি :- নোয়াখালীর ভূমি বন্দোবস্তরে ইতহিাসরে সাথে জলোর ভাঙ্গাগড়ার ইতহিাস অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়তি। শত বছর ধরে এ জলোর উপকূলরে ভূমি যমেন ক্ষতবক্ষিত হয়ছেে । ভঙ্গেে ভঙ্গেে সাগর আর মঘেনায় তলয়িে গছে,ে তমেন করে আবার জগেছেে নতুন নতুন জনপদ। রাতারাতি কউে হয়ছেে ন:িস্ব পথরে ভখিার।ি আবার এক শ্রণেীর মানুষ গড়ে তুলছেে তার সম্পদ আর ভাগ্য । ভূমকিে ঘরিে এ এলাকার মানুষরে মধ্যে ঘটছেে এক অদ্ভুত রুপান্তর। জমরি লোভে অনকেে হয়ছেে হংিস্র লোভাতুর । এখনো চলছে সইে নরিন্তর ভাঙ্গাগড়ার খলো। সইে তালে উপকূল জুড়ে চলছে দখল পাল্টা দখল, হংিস্রতা, হানাহান,ি মামলা মকদ্দমা পুলশি র্কোট কাছারী আর জাল জালয়িাত।ি এর সঙ্গে যমেন খটেে খাওয়া ন:িস্ব ভূমহিীন জড়তি তমেনি জড়তি হয়ছেে শহররে একশ্রণেীর টাউট, ভূমগ্রিাসী মধ্যবত্তি বনকি সম্প্রদায়, রাজনৌতকি নতো, আমলা, ব্যবসায়ী, শল্পিপতরিা। এক সময যাদরে জায়গা জমি ছলিো, সইে জমি ঘরবাড়ি সহ নদী র্গভে বলিনি হয়ে যায় কন্তিু পরে যখন সইে জমি আবার নদী র্গভ থকেে জগেে উঠ,ে শখিস্তি পয়স্তরি জটলি আর্বতে পড়ে সইে জমি নয়িে সমস্যার সূত্রপাত হয়। মামলয় জড়য়িে পড়ে বা মামলা করতে বাধ্য হয় হাজার হাজার ভূমরি মালকি কংিবা তার ওয়ারশিগণ। সাগর আর নদী থকেে জগেে উঠা প্রায় সকল জমইি সরকারী এক নম্বর খতয়িানে খাস জমি হসিাবে চহ্নিতি হয় । আবার নতুন ভূমি জগেে উঠার সাথে সাথে একশ্রণেীর ভূমগ্রিাসীরা ঝাঁপয়িে পড়ে সে ভূমরি উপর । নানান কুটকৌশলে দখল করে নয়ে নতুন নতুন জগেে উঠা চর। জমি দখল নয়িে হয় রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষ। এক অশান্তরি দাবানল ছড়য়িে পড়ে উপকূল জুড়ে ।

সিকস্তি পয়স্তি কি? :- বেঙ্গল রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৮২৫ থেকে জানা যায়, কোনো ভূ-সম্পত্তি নদী বা সাগরে ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেলে তা ভূ-সম্পত্তির ভাঙন বা ‘সিকস্তি’ হিসাবে গণ্য হয়। অন্যদিকে, কোনো ভূ-সম্পত্তি নদী বা সাগরে বিলীন হওয়ার পর পুনরায় ‘পূর্বস্থানে’ জেগে উঠলে তা ‘পয়স্তি’ সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু নদী বা সাগরে ‘নতুন’ জেগে ওঠা চর প্রচলিত আইনানুযায়ী ‘খাসজমি’ হিসেবে সরকারের ১নং খতিয়ানভুক্ত হয়।

এলাকা পরিচিতি:- নোয়াখালী গেজেটের তথ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে, বঙ্গপসাগরের মোহনায় নোয়াখালী জেলাটি একটি ব-দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। নোয়াখালীর আদি নাম ছিল ভুলুয়া। ১৮২২ সালের ২৯ মার্চ ভুলুয়া পরগনার অধীনে এটি পত্তন হয়। প্রাক্তণ বাকেরগঞ্জ বা বরিশালের সঙ্গে ছিলো এর সংযুক্তি। দণি সাহবাজপুরও বলা হতো একে। কুমিল্লার সুধারাম, বেগমগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, বাকেরগঞ্জের দণি সাহবাজপুর ও উপকূলীয় অঞ্চল এবং চট্টগ্রামের হাতিয়া ও সন্দ্বীপ নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল। এর জেলা সদর স্থাপিত হয় নোয়াখালী মৌজায়।
১৯৫০-এর দশকে নোয়াখালী শহর সম্পূর্ণ নদীগর্ভে হারিয়ে গেলে বর্তমান মাইজদী কোর্টে এর সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে জেলা সদর মেঘনা নদীতে ভেঙ্গে আবার পত্তন হয়। বর্তমানে পুরাতন শহরটি একটি নতুন চরের নোয়াখালী ইউনিয়নের একটি মৌজা। যেখানে প্রাচীন শহরের চিহ্নটিও নেই। ১৯৮৪ সনে ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা গঠিত হলে নোয়াখালীর মধ্যে রাখা হয় ছয়টি থানা, সেগুলো হলো- চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, কোম্পানিগঞ্জ, হাতিয়া ও সদর। পরর্বতী কালে নোয়াখালী সদরকে ভঙ্গেে সুর্বণচর ও বগেমগঞ্জকে ভঙ্গেে সোনাইমুড়ি উপজলো নামে আলাদা দুটি উপজলো গঠতি হয়। পুরো জেলাটি ৩ হাজার ৬ দশমিক ৯৯ বর্গ কিলোমিটার, তার মধ্যে ৮’শ ৬ দশমিক ৪৯ বর্গকিলোমিটার নদী এবং ৫’শ ৪৫ দশমিক ৬৬ বর্গকিলোমিটার সৃজিত বনভূমি। নোয়াখালী জেলা ২২.০৭ ও ২৩.০৮ উত্তর আংশ এবং ৯০.৫৩ ও ৯১.২৭ দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
অভযিোগ রয়ছে,ে সেটেলমেন্ট অফিস এবং জরিপ বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রভাবশালীরা।
সরকারি জরিপ বিভাগের বিধান আছে কোন জায়গায় কতটুকু জমি কোন সময়ে ভেঙ্গে গেছে কিংবা জেগে উঠেছে অর্থাৎ শিকস্তি পয়স্তি জরিপ সার্বণিক করার। দিয়ারা জরিপ সবসময়ই চলার কথা। কিন্তু নানান কারণে নোয়াখালীতে এর সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। জোতদার ভূমিগ্রাসীরা এটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। এক সময় যা খাসমহল ছিলো সেই কাগজপত্রগুলো কিংবা কেএম খতিয়ানগুলো পাওয়া যায় না। প্রায় ক্ষত্রেে বালামের পাতা থাকে না কিংবা ছিঁড়ে ফেলে দেয়া হয়। বালাম বইয়ের পাতা ছেঁড়া হচ্ছে, কিন্তু এর জন্য কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে না। নদী থকেে যেখানেই জমি জগেে উঠছে সেখানেই একদল জোতদার তার মৌরসী জমি বলে দাবি করে বসে থাক।ে এ সংক্রান্ত কাগজও তৈরি করা হয়ে যায়। আবার এ সংক্রান্ত স্ব্যা আইনেরও জটিলতা আছে। আইনের দুর্বলতা কিংবা আইনের ফাঁক ফোকর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যবহার করছে ভুমিগ্রাসী প্রভাবশালীরা।

খাসজমি যেভাবে সিকস্তি করা হয় :- ভূমিহীনদের মাঝে বন্দবস্তকৃত খাসজমি আইনের ফাঁক গলিয়ে সিকস্তি পয়স্তি হিসেবে দখলের বহু নরিজ রয়েছে নোয়াখালী অঞ্চলে। দখো যায় কোনো এলাকায় ২০ জন ভূমহিীন এক বা দেড় একর করে জমি বন্দোবস্ত পলেো। তার কছিুদনি পর শরিক একজন সে জমি থকেে অদৃশ্য হয়ে যায়। আরো কছিুদনি পর দখো যায় ভূমিহীনরা কেউই সেখানে আর অবস্থান করেনা। বুঝা যায়, এই ভূমিহীনরাও থাকে সাজানো। কছিু ভাড়াটে ভূমহিীন জোতদারদরে পক্ষে এ সাজানো নাটকটি করে থাক।ে অন্যদকিে ভূমিহীনদের খাসজমি বন্টণের েেত্র কবুলিয়তে শর্ত থাকে যে, এই সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না। কথতি ভূমহিীন সম্পত্তিটা বন্দোবস্তের পরপরই জোতদারদরে কাছে নামমাত্র মূল্যে বক্রিি করে দয়িে যান। ভূমিগ্রাসী প্রভাবশালীরা বন্দোবস্তপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জমি রেজিষ্ট্রির নাম করে কিছু টাকা দিয়ে জমি থকেে উচ্ছদে করে দেয়। পরবর্তীতে এই জমিগুলো জাল দলিল করে মামলার মাধ্যমে মৌরসী জমি অর্থাৎ চরে জেগে ওঠা র্পূব পুরুষদরে পয়স্তি জমি হিসেবে দখল নয়ো হয়। এতে নানা মুখী সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসমস্যাগুলি লাঘবরে ক্ষত্রেে সরকার সময় সময় বভিন্নি প্রজ্ঞাপন জারী করে থাক।ে ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রনালয়রে দয়িারা/র্চচা প্রসঙ্গ,ে শাখা নং-২ নঙ ২-২/৮৭/৯০(১৯৬০) তারখি ১৯ মাঘ, ১৩৯৩/২-২-৮৭ বষিয়:-নদী সকিস্তি জমি পয়স্তি হলে অথবা নতুন জগেে উঠা চররে বন্দোবস্ত পদ্ধতি ’ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়ছেে , সরকার গভীর উদ্বগেরে সহতি লক্ষ করতিছেে য,ে বভিন্নি জলোয় নদী সকিস্তি জমি পয়স্তি হইবার পর র্সাভয়োর /আমনি কতৃক প্রস্তুতকৃত এবং কানুনগো কতৃক র্সাটফিকিটে প্রাপ্ত পুন:পুন: বদলকৃত র্চচাম্যপ দ্বারা খাস জমি বন্দোবস্ত দয়োর প্রক্ষেতিে আইন শৃঙ্খলা সমস্যার উদ্ভব হইতছে।ে সুতরাং এই ধরনরে ম্যাপ দ্বারা পয়স্তি জমি ও নতুন জাগয়িা উঠা চররে জমি বন্দোবস্ত দওেয়া অবলিম্বে বন্ধ করতিে হইব।ে দয়িারা সটেলেম্যান্ট দ্বারা প্রস্তুতকৃত ম্যাপ প্রকাশতি না হওয়া র্পযন্ত কোনো পয়স্তি খাস জমি ও নতুন জাগয়িা উঠা চররে জমি বন্দোবস্ত দওেয়া যাইবনো। যখনই কোনো নতুন চর জাগয়িা উঠবিে তখনই সংশ্লষ্টি জলো প্রশাসক অবলিম্বে বঙ্গেল র্সাভে এবং সটেলেমন্টে ম্যানুয়লে ১৯৩৫ এর ২৯৯ এবং ৩০০ ধারা অনুযায়ী উহা জরপিরে জন্য মহা-পরচিালক ভূমি রর্কেড ও জরপি অধদিপ্তররে নকিট প্রস্তাব পশে করবিনে এবং সইে প্রক্ষেতিে মহাপরচিালক বাৎসরকি জরপি র্কমসূচি গ্রহণ করবিনে এবং যথাশীঘ্র এ জরপি সম্পন্ন করা যায় জমি বন্দোবস্ত ততই সুগম হইব।ে এতকাল উদ্ভুত বভিন্নি সমস্যার পরমিান লাঘব পাইবে আশা করা যায়। ইহার ফলে নতুন জাগয়িা উঠা খাস জমি ভূমহিীন ও বত্তিহীনদরে মাঝে বন্টনরে ফলে র্আথসামাজকি সমস্যারও আংশকি লাঘব হইবে বলয়িা বশ্বিাস। এই নর্দিশে অমান্য করলিে দায়ী/ র্কমর্কতাদরে বরিুদ্ধে কঠোর শাস্তমিূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হইব।ে এই নর্দিশে অবলিম্বে বলবৎ হইব’ে। আদশেক্রম,ে কাজী সরিাজুল ইসলাম, যুগ্ম-সচীব। পরর্বতীতে ১২মে ১৯৯৭ তারখিে রাষ্ট্রপতরি আদশেক্রমে সচবি সয়ৈদ মাহবুব র্মোশদে স্বাক্ষরতি নীতমিালার ২৭.০ নং অনুচ্ছদেওে উল্লখে রয়ছেে 'নদী পয়োস্তি জমি ও চর ভূমরি ক্ষত্রেে দয়িারা জরপি না হওয়া র্পযন্ত এই সকল জমি ভূমি ব্যাবস্থাপনা ম্যানুয়ালরে বধিান অনুযায়ী ডসিআির এর ভত্তিতিে একসনা ইজারা দওেয়া হইব।ে’ এ ক্ষত্রেে ডসিআির বা ডুব্লকিটে র্কাবন রসিপ্টি এর মাধ্যমে প্রকৃত ভূমহিীন কৃষকদরে জমি বরাদ্ধরে কথা আছ।ে খাসজমি বন্দোবস্তরে ক্ষত্রেে এ সকল নীতমিালা করা হয়ছে।ে বার বার হাত নকসায় বন্দোবস্ত দয়ো হয়ছেে খাসজম।ি সে কারনে আজ একই জমরি ত্রমিূখী মালকিানা, বয়ার দাবী, ওয়াকফ ষ্টটে আইন, প্রশাসনরে নরিপক্ষেতা, অস্বচ্ছতা, বন্দোবস্তরে র্দীঘসূত্রতিা, চরাঞ্চলরে আইন শৃঙ্খলার অবনত,ি খুনখারাব,ি রাহাজানী, মানবাধকিাররে চরম লঙ্ঘন আর হাজার হাজার মথ্যিা মামলার কারণ। এ সমস্যা নোয়াখালীর সমগ্র উপকূল জুড়ে বস্তিৃত। ভূক্তভোগীরা অভযিোগ করে আসছ,ে এ ক্ষত্রেে প্রশাসনরে রয়ছেে খামখয়োলী আর অদুরর্দশীতা।

উপকূলে খাসজমরি পরমিান:- নোয়াখালীর উপকূল জুড়ে যে বপিুল খাসজমরি ভান্ডার গড়ে উঠছে তার সঠকি তথ্য কখনো করা হয়ন।ি ভূমরি একদকি নদী থকেে জাগলে অন্যদকিে তা আবার ভঙ্গেে যায়। ভূমরি এক অংশ ভাঙ্গলে গড়ে উঠে অন্য অংশ। তবে র্দীঘদনিরে র্পযবক্ষেনে দখো যায়, ভাঙ্গাগড়ার মহাযজ্ঞে জমরি পরমিান দনি দনি বৃদ্ধইি পাচ্ছ।ে ভূমি অফসি সূত্রে জানা যায়, গত পঞ্চাশ বছরে নোয়াখালীর দক্ষণিাংশে সমুদ্র থকেে প্রায় ২শ’৭০ র্বগকলিোমটিার নতুন ভূমি জলোর মূল ভূখন্ডরে সাথে যুক্ত হয়ছে।ে বন বভিাগ নতুন জগেে উঠা চর আবাদী করে গড়ে তোলার জন্য বশি বছররে চুক্ততিে বনায়ন করছ।ে সে হসিাবে তাদরে কাছে রয়ছেে ২লক্ষ ৩২হাজার ১শত ৫০দশমকি শূন্য ৬ একর জম।ি এর মধ্যে নোয়াখালী সদর ও সুর্বণচরে রয়ছেে ৯৭হাজার ৩২দশমকি ৫৯একর জম।ি কোম্পানীগঞ্জে ১২হাজার ২শত ৩২ দশমকি ৬৫একর, হাতয়িায় ১লক্ষ ২২হাজার ৮শত ১৮দশমকি ৬৫ একর ভূম।ি

ভূমি প্রাপ্ততিে ভোগান্ত:ি- ভূমহিীনদরে অজ্ঞতা অমলাতান্ত্রকি জটলিতা দালালদরে উৎপাত প্রতারণা ঘন ঘন নীতমিালা পরর্বিতন এবং ত্রুটপর্িূণ ব্যবস্থাপনার কারণে ভূমি বন্দোবস্তে র্দূনীতি বস্তিার লাভ করছ।ে এখানে টাকাই হয়ে উঠছে ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার প্রধান মাধ্যম। মাঠ র্পযায় থকেে প্রশাসনরে র্শীষ র্পযায় র্পযন্ত এ ব্যবস্থা বরিাজ করছে । যে পরবিারে বসত বাড়ি ও কৃষি জমি নইে কন্তিু পরবিারটি কৃষি নর্ভির তাকইে ভূমহিীন আখ্যা দয়ো হয়ছেে । একজন ভূমহিীনরে সরকারী খাস জমি পাওয়ার জন্য আবদেন পত্র হতে শুরু করে রজেষ্ট্রিি র্পযন্ত ধাপগুলো সর্ম্পকে কোনো আভজ্ঞিতা নইে এবং সরকারী ফি কত তাও তাদরে জানা নইে। এই নরিক্ষর অনভজ্ঞি ভূমহিীনদরে দ্বারস্ত হতে হয় স্থানীয় দালাল, টাউট , তহশীল ও ভূমি অফসিরে একশ্রণেীর র্কমচারীদরে উপর। এখান থকেইে ভূমহিীনদরে হয়রানি শুরু হয়। এক খন্ড জমি পতেে হলে ভূমহিীনদরে বহু ত্যগ ও কষ্ট সহ্য করতে হয় । অপক্ষো করতে হয় বছররে পর বছর । বভিন্নি জনরে কাছে র্ধণা দয়িইে কাজ শষে হয়না, চয়োরম্যন র্সাটফিকিটে নয়ো, আবদেন পত্র সংগ্রহ , ছবি তোলা যাতায়ত সহ প্রায় সব ক্ষত্রেইে ভূমহিীনদরে র্অথ ব্যয় করতে হয়। ভূমহিীনদরে ভূমি প্রাপ্তরি জন্য প্রথমইে ভূমি অফসিে নর্ধিারতি ফরমে আবদেন করতে হয। এই আবদেন পত্র সংগ্রহ করা থকেে শুরু হয় ভূমহিীনদরে ভোগান্ত।ি ভূমি অফসি তথা ভূমি মন্ত্রণালয় র্পযাপ্ত আবদেন পত্ররে ফরম সরবরাহ করনো। এ কারনে দুই টাকার আবদেন পত্র সংগ্রহ করতে খরচ হয় বশি টাকা থকেে ত্রশি টাকা । আনকে ক্ষত্রেে আরো অনকে বশেী খরচ হয় বলে ভূক্তভোগী ভূমহিীনরা অভযিোগ করছে।ে এরা আরো অভযিোগ করে ভূমি অফসি আবদেন পত্র আহ্বান করার পর পরই এলাকা ভত্তিকি দালাল ফরয়িা চক্র সক্রয়ি হয়ে উঠ।ে যথা সময়ে আবদেন করতে না পারার কারনে অনকে ভূমহিীন খাস জমি থকেে বঞ্চতি হয়ছে।ে ভূমহিীনরা প্রথমে ২২ কলামরে একটি আবদেন পত্রে আবদেন করতে বলা হয় , কন্তিু প্রাথমকি বাছাইয়রে পর আবার ১৬ কলামরে আর একটি আবদেন পত্র পূরণকরতে বলা হয়। এ এলাকার ভূমহিীনরা প্রায় নরিক্ষর তাদরে পক্ষে এটি একবোরইে দুরুহ কাজ। কন্তিু এ বষিয়ে কখনো কোনো প্রচারনা চালানো হয়ন।ি ভূমি অফসি জানায় নতুন নীতমিালায ১৬ কলামরে একটি ফরমপূরণ করার নয়িম সম্প্রতি বধ্যবাধকতা করা হয়ছে।ে ভূক্ত ভোগী ভূমহিীনরা জানায খাসজমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ভুমি অফসিে প্রায় ২০টি টবেলি ঘুরতে হয়। প্রায় সব টবেলিে কছিু না কছিু উপরি বা ঘুষ না দলিে কোনো কাজ হয়না। অফসিরে এক শ্রণেীর র্দুণীতবিাজ র্কমর্কতাদরে মাধ্যমে একই জমি একাধকি ব্যাক্তরি নামে বন্দোবস্ত দয়োর অভযিোগ রয়ছে।ে ভূমহিীন কৃষকরো জানায়, জমি বন্দোবস্তরে জন্য যারা টাকা দয়িছেতাদরে নথি অনুমোদন হয় ঠকিই কন্তিু আবার সইে নথরি জমি বশেী টাকার বনিমিয়ে অন্যদরেকে দয়িে দয়োর নজরি রয়ছে।ে নোয়াখালীর বভিন্নি তহশীলে আনকে ভূমহিীন পরবিার খাস জমরি জন্য আবদেন করছেলিো কন্তিু বন্দোবস্ত পাওয়া ভূমহিীনদরে সংখ্যা সে তুলনায় অত্যন্ত কম। মাহফুজা খাতুন(৪৫) জানান, ইউনয়িন পরষিদরে আবু মাঝি জমি বন্দোবস্তরে জন্য ২০ টাকা করে নয়িছেনে। এরপর আরো ৫০০ টাকা চয়েছেলিো। তনিি আর দনেন।ি তনিি জানান অনকেইে দয়িছেনে। কন্তিু জমি পায়ন।ি যারা বশেী বশেী টাকা দয়িছেনে তারা কউে কউে জমি পয়েছেনে। আবার অনকেে কাগজ পত্র পয়েওে জমি দখলে পায়ন।ি তনিি জানান জমি পতেে কোথায় কত টাকা লাগে বা কি কি করতে হয় তা তনিি জাননেনা।

দালালদরে মাধ্যমে ভোগান্ত:ি- এলাকার এক শ্রণেীর দালাল চক্র অসহায় দরদ্রি ভূমহিীনদরে কাছ থকেে তাদরে শষে সম্বল টুকু হাতযিে নয়ে জমি দয়োর কথা বল।ে তারা ভূমি অফসিে তদ্বরি ও র্দুনীতরি মাধ্যমে জমি পাইয়ে দবোর ব্যবস্থা করে । তবে এ জন্য তারা র্শতও জুড়ে দয়ে । কোনো কোনো ভূমহিীনদরে সাথে চুক্তি হয় যদি তারা জমি পাইয়ে দতিে পারে তাহলে তবে তাদরেকে বনোমে র্অধকে জমি দয়িে দতিে হব।ে অসহায় ভূমহিীনরা একটুখানি জমি পাওয়ার আশায সব র্শত মনেে নয়ে। ভুমহিীন মাহফুজা খাতুন(৪৫) জানায়, এক সময় তাদরে হাতয়িায জায়গা জমি ছলিো। বশে কয়কে বছর আগে নদীতে ঘর বাড়ি ভঙ্গেে গলেে নানান যায়গা ঘুরে ছয় সাত বছর আগে চর মজিদরে আচকা কলোনীতে এসে ওয়াপদার বড়েরি পাশে একটি ঝুপরি ঘর তুলে বসবাস করছ।ে স্বামি আবু তাহরে(৫০) কৃষি কাজ করতনে এখন পঙ্গু অবস্থায় ঘরে বসে আছনে । কোনো কাজ করতে পারনো। বাহনিীর লোক বলে পরচিতি এক লটিন নামরে দালাল জমি পাইয়ে দয়োর কথা বলে দুই হাজার ছয় শত টাকা নয়িছে।ে এর পরওে সে আরও টাকা দাবি কর।ে আর টাকা দতিে না পারাতে লটিন জমওি দয়েন,ি টাকাও আর ফরিত দয়েন।ি কভিাবে কোথায় গলেে সরকারি জমি পাওয়া যাবে মাহ্‌ফুজা খাতুন এর কছিুই জাননেনা। কি ভাবে সরকারী খাস জমি পতেে হয় এবষিয়ওে তাঁর কোনো ধারনা নইে। জলোর বভিন্নি চরে জনবসতি গড়ে উঠার শুরু হতইে বভিন্নি রাজনতৈকি দলরে নতো ও স্থানীয় জোতদাররা চররে নয়িন্ত্রন করে আসছে বলে স্থানীয় অধবিাসীরা জানয়িছে।ে সরকার পরর্বিতনরে সাথে সাথে এই সব নয়িন্ত্রকদরে রাজনতৈকি পরচিয়ও পরর্বিতন হয়ে যায়। চররে অধকিাংশ মানুষ নদী ভাঙনে র্সবস্ব হারানো দরদ্রি পীড়তি অসহায় জীবন যাপন কর।ে সরকাররে ভূমি সংস্কার র্কমসূচীতে অধিকাংশ ভূমিহীন অর্ন্তভূক্ত। তাদরে শতকরা ২০ ভাগও সরকারী খাস জমতিে পুর্নবাসতি হয়ন।ি সরকার র্কতৃক বরাদ্ধকৃত খাসজমরি বন্দোবস্ত পয়েওে অনকে ভূমহিীন সে জমরি দখল বুঝে পায়ন।ি অন্যদকিে প্রভাবশালী মহল স্থানীয় প্রশাসনরে সহায়তায় চররে পর চর দখল করইে চলছে । ভূয়া দললি আর বয়ার দাবতিে প্রতনিয়িত তারা ভূমি গ্রাসরে অপ:তৎপরতায় লপ্তি রয়ছে।ে প্রচলতি নয়িম অনুযায়ী নদী বা সাগর র্গভে বলিনি হয়ে যাওয়া ভূমি সরকাররে খাস খতয়িান ভূক্ত জমি বলে ববিচেতি হয়। কন্তিু ১৯৯৪ সালে প্রজাসত্ব আইনরে একটি সংশোধনী পাশ করে এ নয়িম পরর্বিতন করা হয়ছেে ।এ আইনে বলা হয়ছেে কারো ব্যক্তগিত বা পারবিারকি জমি নদীতে ভঙ্গেে গলেওে ৩০ বছররে মধ্যে পয়স্তি হলে সে তা ফরিে পাবে । একটি বাম আন্দোলনরে নতো ও সমাজর্কমী দুলাল অভযিোগ করনে, প্রভাবশালী মহল ও জোতদাররা আইনরে এই সংস্কার কাজে লাগয়িে বয়ার দাবি নয়িে মাঠে নমেছে।ে অন্যদকিে ভূমহিীনরা বয়ার দাবি প্রতরিোধে আন্দোলন সংগ্রাম করছনে। এনয়িে প্রতনিয়িত এখানে রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষ লগেে আছ।ে চরবাসি জানায় স্বাধীনতার পর থকেে এ চর গুলোতে শত শত নারী পুরুষ ও শশিু জোতদারদরে হাতে নহিত হয়ছে।ে এর মধ্য সবচয়েে ভয়াবহ সংর্ঘষ হয়ছেে ভাটরিটকে।ে আশরি দশকে বভিন্নি যায়গা থকেে কয়কেশ পরবিার ভাটরিটকেে নতুন জগেে উঠা চরে মাথা গুঁজার জন্য আশ্রয় নয়িছেলিো। তারা খাস জমতিে বস্তি তুলে নতুন জমি আবাদী করতে শুরু কর।ে কন্তিু তখন স্থানীয় প্রভাবশালী জোৎদারদরে লাঠয়িাল বাহনিী রাতরে আন্ধকারে নরিহি ন:িস্ব ভূমহিীনদরে উপর ঝাঁপয়িে পড়।ে রাতর আঁধারে নৃশংসভাবে হত্যা করে অনকে নারী পুরুষ ও শশিুদরে। জ্বালয়িে দয়ে ভুমহিীনদরে বস্তগিুলো। সে ঘটনায় তখন পুলশি বাদি হয়ে মামলা কর।ে সে মামলায কয়জনরে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। সে সময়রে সে ঘটনা ভাটরিটকেরে হত্যাকান্ড বলে এখনো অনকেরে মনে ভয়াল স্মৃতি হয়ে বরিাজ করছ।ে স্থানীয় লোকমুখে সে এলাকাটি এখন পোড়াভটিা হসিাবে পরচিতি।

তথ্য কন্দ্রে: গ্রামাঞ্চলে তথ্য নয়িে কাজ করে এরকম একটি বসেরকারী উন্নয়ন সংস্থা ডভেলেপমন্টে রসর্িাচ নটেওর্য়াক বা ড-িনটে‍ ২০০৫ সনে নোয়াখালীর চর বাটায় পল্লী তথ্য নামে একটি তথ্য কন্দ্রে স্থাপন কর।ে এখানে এসে গ্রামরে বভিন্নি মানুষ নানান রকম তথ্য পয়েে থাক।ে এখানকার অফসি ম্যনজোর মো: কামাল উদ্দনি জানান সরকারী উদ্দ্যোগে কোনো প্রকাররে কোনো তথ্য এখানে এসে কউে জানায়ন।ি বা এ কন্দ্রে থকেে তাদরে কোনো তথ্য কখনো কাউকে জানাতওে বলনে।ি এখানে যা তথ্যআছে তা সবই সংস্থার নজিস্ব। এখানে জীয়ন তথ্য ভান্ডার নামে তথ্য সবোর ব্যাবস্থাও রয়ছে।ে গ্রামরে মানুষ এখানে এসে তথ্য পয়েে অনকে লাভবান হচ্ছনে। তনিি জানান, ভূমহিীনদরে ভূমি প্রাপ্তরি জন্য কোনো তথ্য পতেে আসতে দখো যায়না। এ ব্যপারে তাদরে কোনো সচতেনতাও নইে। এ বষিয়ে সরকারি কোনো উদ্যোগও দখো যায়না। গত আড়াই বছরে শতাধকি মানুষ ভূমি সংক্রান্ত বভিন্নি তথ্য নয়িছেনে কন্তিু এ কন্দ্রে থকেে খাস জমি পতেে তথ্যরে জন্য তমেন লোকজন আসনে।ি এ সংক্রান্ত তথ্য নয়িছেে মাত্র ২৫জন। তনিি আক্ষপে করে বলনে, আনকে সরকারী র্কমচারী র্কমর্কতা চান না ভূমি পাওয়ার সঠকি তথ্য ভূমহিীনরা পয়েে যাক। তবে তনিি জানান কউে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে চাইলে তাঁরা সংশ্লষ্টি অফসিে যোগাযোগ স্থাপন করয়িে দয়িে থাকনে। এ কন্দ্রেে ভূমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত ভূমি মন্ত্রণালয়রে প্রচারতি একটি পোষ্টার টাঙ্গানো রয়ছে।ে কন্তিু আর কোথাও এরকম পোষ্টার পরলিক্ষতি হয়ন।ি শবিচরণ গ্রামরে ভূমহিীন লক্ষীরাণী দাস(২৫) জানান তনিি ৮ম শ্রণেী র্পযন্ত পড়াশুনা করছেনে। এলাকার বভিন্নি ক্ষতে খমারে বদলা দয়িে কোনো রকমে আয় উর্পাজন করনে। তনিি জানান কছিুটা পড়ালখো জানলওে খাস জমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত কোনো তথ্য তনিি জাননেনা।

উপসংহার:- নোয়াখালীর দক্ষনিাংশে সাগর থকেে প্রতনিয়িত নতুন নতুন ভূমি জগেে উঠছ।ে অথচ সে ভূমরি সঠকি ব্যবহার কখনো করা হয়ন।ি এদকিে আশংকাজনক ভাবে ভূমহিীনদরে সংখ্যাও দনি দনি বড়েে যাচ্ছ।ে কোন এলাকায় কত জমি আছে তার সঠকি তথ্য ভূমহিীনদরে কাছে কখনো পৌঁছায়না। আর সে জমি গুলো নানান কায়দায় নানান ছল চাতুরতিে চলে যায় ভূমগ্রিাসীদরে কব্জায়। ভূমি নীতমিালায় স্পষ্ট বলা আছে খাসজমি পাওয়ার অগ্রাধকিার রয়ছেে একমাত্র ভূমহিীনদরে। অথচ অসহায় নরিক্ষর ভূমহিীনরা এর সুফল ভোগ করতে পারছনো। আবার এদরে রক্ত ঘামে আমাদরে গ্রামীণ কৃষি র্অথনীতি সচল রয়ছে।ে জাতী হসিাবে র্সবাঙ্গীন ভাবে আমরা অনকে পছিে পড়ে রয়ছে।ি দশেরে জনসংখ্যার প্রায় র্অধকে ভূমহিীন। দশেরে র্অধকে জনগণকে বাদ দয়িে আমাদরে সমৃদ্ধরি কথা ভাবা বাতুলতা মাত্র। ভূমি সংক্রান্ত সঠকি তথ্য ভূমহিীনদরে জানানো সরকাররে গুরু দায়ত্বি। সঠকি তথ্যরে ভত্তিতিে ভূমহিীনদরে কাছে সঠকি ভাবে খাসজমি বন্দোবস্ত দতিে পারলে কৃষি প্রধান এদশেরে সামগ্রীক র্অথনীতরি রুপ পরর্বিতন হয়ে যাবে তা আর কাউকে বলার অপক্ষো রাখনো।


মাহমুদুল হক ফয়জে
ফ্র-িল্যন্স সাংবাদকি
মোবাইল: ০১৭১১২২৩৩৯৯
ব-সধরষ: সযভড়বু@মসধরষ.পড়সসঠকি তথ্যরে অভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলরে
খাসজমি বতিরণ ব্যবস্থায় ভূমহিীনরা বঞ্চতি হচ্ছে ।
মাহ্‌মুদুল হক ফয়জে

ভূমকিা :- মঘেনা ও বঙ্গপোসাগর ঘঁেসা নোয়াখালীর দক্ষণিাঞ্চল নানান ভৌগোলকি ভাঙ্গাগড়ার মধ্যে অবস্থান করছে । এ অঞ্চলরে মানুষ একদকিে নদী ভাঙ্গনরে শকিার হচ্ছ,ে অন্যদকিে নতুন নতুন ভূমি সাগর বক্ষ থকেে জগেে উঠছ।ে একদকিে মানুষ ভূমি হারয়িে ন:িস্ব হয়ে যাচ্ছ,ে অন্যদকিে খাসজমি পতেওে তারা নানান বড়িম্বনার শকিার হচ্ছ।ে তা ছাড়া এ অঞ্চলরে বপিুল সংখ্যক মানুষ দনিমজুররে কাজ কর।ে প্রায় তারা নত্যি টানাপোড়নরে মধ্যে অভাবি জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছ।ে এখনো অনকেইে যুগযুগ ধরে বংশপরম্পরায় ভূমহিীন অবস্থায় রয়ে গছে।ে যদওি সরকারি নীতমিালায় নতুন খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার অধকিার এইসব ভূমহিীনদরে রয়ছে।ে কন্তিু সরকারি বভিন্নি নীতমিালার বষিয়ে অজ্ঞতার কারনে এরা খাসজমি বন্দোবস্ত থকেে বঞ্চতি হচ্ছ।ে এই সব খটেে খাওয়া মানুষদরে, যাদরে নত্যি চাল আনতে পান্তা ফুরায় প্রতদিনি যাদরে প্রচন্ড হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খটেে দুবলো অন্ন জোগাতে হয়, জীবন যাদরে শত ছন্নিতায় বাঁধা, তাদরে তথ্যরে পছিনে ঘুরে নজিদেরে অধকিার আদায়রে জন্য শক্তি ও সার্মথ্যরে অবকাশ কোথায়।
র্সাবকিভাবে নোয়াখালীর ভূমহিীন সমস্যা অত্যন্ত প্রকট । নদী ভাঙ্গনরে ফলে নোয়াখালীর বভিন্নি জনপদ প্রতনিয়িত ক্ষত বক্ষিত হচ্ছে । এই নদীভাঙ্গনরে কারনে বৃহত্তর নোয়াখালীর সুর্বণচর, হাতয়িা, রামগতি ও কোম্পানীগঞ্জরে বভিন্নি এলাকার কয়কে হাজার মানুষ প্রতবিছর বাস্তু ভটিা হারয়িে প্রতনিয়িত ভূমহিীনে পরণিত হচ্ছে । স্বাধীনতার পরর্বতী কাল থকেে ভূমহিীনদরে খাসজমি বন্দোবস্ত দয়ো শুরু হলওে আজ র্পযন্ত এ অঞ্চলরে বপিুল সংখ্যক ভূমহিীন খাস জমি প্রাপ্তি থকেে বঞ্চতি হয়ে আছ।ে খাসজমি বন্দোবস্ত পতেে যে র্দীঘ প্রক্রয়িা ও জটলিতা রয়ছেে তা ডঙ্গিানো একজন সাধারন ভূমহিীনরে পক্ষে অসম্ভব ব্যপার । নতুন চর জাগলে ভূমহিীনরা সে চরে স্বাভাবকি ভাবে কখনো বসতি পায়না । একটুকরো জমরি জন্য তাদরে অনকে লাঞ্ছনা গঞ্জনা সইতে হয়। কখনো জড়য়িে পড়তে হয় রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষ।ে এখানে আছে ভূমগ্রিাসী জোতদার লাঠয়িাল বাহনিীর অত্যাচার। এরা মধ্যযুগীয় কায়দায় দখল করে নয়ে সরকারী খাসজমি গুলো। সংঘাত সংর্ঘষ হামলা মামলায় হারয়িে যায় ভূমহিীনদরে একটুকরো বাঁচার স্বপ্ন।
এসব কছিুর পরওে বভিন্নি সময় বভিন্নি সরকার ভূমহিীনদরে পুর্নবাসনরে জন্য বভিন্নি র্কমসূচী গ্রহন করছেে । বভিন্নি সরকাররে আমলে বভিন্নি নীতমিালায় ভূমহিীনদরে কছিু কছিু জমি বরাদ্ধ দয়ো হয়ছে।ে তবে প্রায় ক্ষত্রেে অভযিোগ রয়ছেে য,ে এর জন্য ভূমহিীনদরে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়ছে।ে অনকে ক্ষত্রেে দখো গছেে ভূমহিীনদরে নামে বনোমে জোতদাররা অনকে জমি নজিরোই করায়ত্ত করে নয়িছে।ে খাসজমি প্রদান ছাড়াও এরশাদ সরকাররে আমলে গুচ্ছগ্রাম, বএিনপি সরকাররে আমলে আর্দশ গ্রাম এবং আওয়ামী লীগ সরকাররে আমলে আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রভৃতরি মাধ্যমে ভূমহিীনদরে পূর্নবাসনরে উদ্যোগ নয়ো হয়ছে।ে নোয়াখালী সদর ও সুর্বনচররে চর মজদি, চর মহউিদ্দনি , হাতয়িার নঝিুম দ্বীপ সহ বভিন্নি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়ছে।ে কন্তিু এর মাধ্যমে ভূমহিীনদরে মাথা গুঁজার স্থান হলওে তাদরে অধকিাংশরেই জীবন জীবকিার নশ্চিয়তা মলিনে।ি সরজেমনিে দখো গছেে অনকে বরাদ্ধপ্রাপ্ত ভূমহিীনরা আশ্রয়ণ ছড়েে অন্যত্র চলে যতেে বাধ্য হয়ছে।ে
বাংলাদশেরে ভূমবিন্দোস্ত নীতমিালায় ভুমহিীনদরে রয়ছেে অগ্রাধকিার। বভিন্নি সময় সরকার এ বষিয়ে বভিন্নি প্রজ্ঞাপন জারি করে থাক।ে কন্তিু ভুমহিীনরা সে বষিয়ে থাকে একবোরে অজ্ঞ। এ সুযোগে এক শ্রণেীর সুবধিাভোগী লুটরো চক্র ভুমহিীনদরে সে সুযোগ ষোলআনা ভোগ করে নয়ে। ফলে প্রকৃত ভূমহিীনরা থাকে বঞ্চতি অবহলেতি। নোয়াখালী সদররে সল্লা গ্রামরে রক্সিা শ্রমকি আবুল কালামরে(৪৫) শুধু ভটিরি উপর দোচালার একটি ঘর রয়ছে।ে তনিি প্রতদিনি সখোন থকেে পাঁচ ছয় কলিোমটিার দূরে সোনাপুর বাজার এবং এর আসপোশে রক্সিা চালয়িে থাকনে। এছাড়াও বাড়তি কাজ হসিাবে অন্যরে জমি র্বগাও করনে। কন্তিু কভিাবে খাস জমি বন্দোবস্ত পতেে হয় তনিি তা জাননে না। ভূমহিীনদরে জন্য যে সকল প্রজ্ঞাপন জারি হয় তাও তনিি কখনো শুননেনি অথচ ভূমি অফসি গুলোর কাছাকাছি প্রায় তনিি রক্সিার ক্ষপে দয়িে থাকনে। সে অফসি গুলোতো এর অনকে তথ্য থাকলওে তার কাছে তা কখনো পৌঁছনে।ি শুধু শুনছেনে টাকা দলিে জমি পাওয়া যায়। তনিি জানান প্রতদিনি হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খটেে এর জন্য খোঁজখবর নওেয়ারও ফুরসত থাকনো। তনিি আরো জানান, তার মত এ রকম আনকেইে আছনে যাদরে এ বষিয়ে কোনো খবরই নইে। সুর্বণচররে অসংখ্য ভূমহিীন বড়েরি পাশে কোনোরকম মাথাগুঁজার ঠাঁই করে আছ।ে আনকে আসহায় ভূমহিীন নারী ফসলি মাঠে কায়কি শ্রম করে আথবা সরকারী বসেরকারী সংস্থাগুলোর রাস্তা মরোমত বা মাটরি কাজ করে জীবকিা নর্বিাহ কর।ে এদরে আনকেইে উপায়হীন হয়ে ভক্ষিাবৃত্তওি কর।ে এদরে পাশইে ভূমগ্রিাসরিা নানান কায়দায জমি দখল করে আছে কন্তিু এদরে ভাগ্যে একটুকরো জমওি মলিনে।ি বলেী রাণী বনকি(৩৫)দরে সন্দীপরে কালাপানয়িাতে ছলিো বপিুল জায়গা জম।ি প্রায় দশ বছর আগে স্বামী ভূবন চন্দ্র বনকি মারা যায়। নদীতে সব ভঙ্গেে গলেে দুটি কোলরে শশিু নয়িে ন:িস্ব কর্পদক শূন্য হয়ে সুর্বণ চররে শবিচরণ গ্রামরে পশ্চমিে বড়েরি বাঁধে পাশে এসে আশ্রয় ননে। সুঠাম দহেরে বলেীরাণী জানান, গায়রে গতর খটেইে তনিি জীবন যাপন করছনে। কখনো মাটকিাটা কখনো ধান ক্ষতেে বদলার কাজ যখন যা পান তাই করনে। সকাল ৮টা থকেে ৫টা র্পযন্ত কাজ করলে পান ৪০ টাকা এবং সইে সাথে পান এক কজেি চাল। তনিি জানান এত কষ্ট করার পরও কোথায় কভিাবে জমি পাওয়া যায় তা তার জানা নইে। তনিি জানান, শুনছেি জমরি জন্য আসলইে টাকা দতিে হয় তাই কখনো এদকিে আসনেন।ি ডানডিার একটি মাটরি প্রকল্পে তাঁর সাথে আরো অনকে মহলিা এ কাজ করনে। জাহানারা বগেম(৪০), ছকনিা খাতুন(৩৫), নূর জাহান বগেম(৫০), মনিতি রাণী পাল(৩৫), মোহছনো বগেম(৪০) এই সব ভূমহিীন নারীরা কউে জাননো ভূমহিীনদরে জন্য সরকাররে ককিি নীতমিালা রয়ছে।ে অথচ এদরে সামনে থকেইে এদরে অধকিাররে ভূমগিুলো ভূমগ্রিাসীরা খাবলে খাচ্ছ।ে আর এরা থকেে যাচ্ছে চরি দীনহীন দনিমুজুর।ে ধীরে ধীরে ন:িশষে হচ্ছে এদরে জীবনী শক্ত।ি আর র্সবাঙ্গীনভাবে জাতি হয়ে পড়ছে র্দুবল থকেে র্দুবলতর।

বাহনিী নামরে সন্ত্রাসী চক্র:- নোয়াখালীর দক্ষণিাঞ্চলে রয়ছেে বপিুল খাস জমরি ভান্ডার । র্দুগম এলাকায এগুলো নয়িন্ত্রন করছে বভিন্নি বাহনিী নামরে এক সন্ত্রাসী চক্র। এরা সরকারি খাস জমি গুলোকে মাপঝোঁক করে ভূমহিীনদরে কাছে বক্রিি করছ।ে এদরে বরিুদ্ধে বশে কয়কেবার পুলশি অভযিান পরচিালনা করে থাকলওে এরা এখনও এলাকায় সক্রয়ি রয়ছে।ে নবগঠতি সুর্বণচর উপজলোর দক্ষনিে নতুন জগেে উঠা চর নাঙ্গলয়িা নয়িন্ত্রন করছেে বশার মাঝি নামে এক বাহনিী র্সদার। এখানে একটি সরকারী খাস জমতিে বসবাস করছে ভূমহিীন গফুর আলী মানকি(২৬)। তনিি জানান, আতাউর রহমান নামে তাঁর এক নকিট আত্মীয় বশর মাঝরি কাছ থকেে কছিু জমি টাকা দয়িে কনিে নয়ে। এই কনো বচোয় কোনো কাগজ পত্র থাকনো। শুধু দখলে থাক।ে দখল চলে গলে জমওি হারাতে হয়। মানকি জানায়, গত ২০০৪ সালে ঐ আত্মীয় থকেে বারো হাজার টাকা দয়িে এক দাগে পৌনে উনশি পন্ডা জমি কনিছেনে। এই জমি মানকি যতদনি তার দখলে রাখতে পারে ততই তার লাভ। কারন এই জমি খুবই র্উবর। যে কোনো ফসলরে এখানে প্রচুর ফলন হয়। মানকি জানান, এখানে প্রায়ই বাহনিীদরেকে চাঁদা দতিে হয। চাঁদা না দলিে এখানে টকিা যায়না। প্রথম প্রথম দুইশ’ টাকা করে দতিে হতো এখন মাসে একশ’ টাকা করে দতি হয়।জমি বচোকনোতওে এদরেকে টক্সে দতিে হয়। সরকারী জমি কি করে বন্দোবস্ত পতেে হয তার কছিুই তনিি জাননে না। এ বষিয়ে কোনো তথ্যই তার কাছে নইে। মানকি জানান, মাঝে মাঝে বাহনিীর লোকজন এসে হুমকী দয়িে যায়, চরে যদি পুলশিী অভযিান হয়, তারা যদি টকিতে নাপার,ে তাহলে ভূমহিীনদরেকওে তারা টকিতে দবিনো। পুলশি মাঝে মাঝে এসে টহল দলিওে এদরেকে কখনো পায়না। এরা থাকে ধরা ছোঁয়ার বইর।ে

শখিস্তি পয়স্থি :- নোয়াখালীর ভূমি বন্দোবস্তরে ইতহিাসরে সাথে জলোর ভাঙ্গাগড়ার ইতহিাস অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়তি। শত বছর ধরে এ জলোর উপকূলরে ভূমি যমেন ক্ষতবক্ষিত হয়ছেে । ভঙ্গেে ভঙ্গেে সাগর আর মঘেনায় তলয়িে গছে,ে তমেন করে আবার জগেছেে নতুন নতুন জনপদ। রাতারাতি কউে হয়ছেে ন:িস্ব পথরে ভখিার।ি আবার এক শ্রণেীর মানুষ গড়ে তুলছেে তার সম্পদ আর ভাগ্য । ভূমকিে ঘরিে এ এলাকার মানুষরে মধ্যে ঘটছেে এক অদ্ভুত রুপান্তর। জমরি লোভে অনকেে হয়ছেে হংিস্র লোভাতুর । এখনো চলছে সইে নরিন্তর ভাঙ্গাগড়ার খলো। সইে তালে উপকূল জুড়ে চলছে দখল পাল্টা দখল, হংিস্রতা, হানাহান,ি মামলা মকদ্দমা পুলশি র্কোট কাছারী আর জাল জালয়িাত।ি এর সঙ্গে যমেন খটেে খাওয়া ন:িস্ব ভূমহিীন জড়তি তমেনি জড়তি হয়ছেে শহররে একশ্রণেীর টাউট, ভূমগ্রিাসী মধ্যবত্তি বনকি সম্প্রদায়, রাজনৌতকি নতো, আমলা, ব্যবসায়ী, শল্পিপতরিা। এক সময যাদরে জায়গা জমি ছলিো, সইে জমি ঘরবাড়ি সহ নদী র্গভে বলিনি হয়ে যায় কন্তিু পরে যখন সইে জমি আবার নদী র্গভ থকেে জগেে উঠ,ে শখিস্তি পয়স্তরি জটলি আর্বতে পড়ে সইে জমি নয়িে সমস্যার সূত্রপাত হয়। মামলয় জড়য়িে পড়ে বা মামলা করতে বাধ্য হয় হাজার হাজার ভূমরি মালকি কংিবা তার ওয়ারশিগণ। সাগর আর নদী থকেে জগেে উঠা প্রায় সকল জমইি সরকারী এক নম্বর খতয়িানে খাস জমি হসিাবে চহ্নিতি হয় । আবার নতুন ভূমি জগেে উঠার সাথে সাথে একশ্রণেীর ভূমগ্রিাসীরা ঝাঁপয়িে পড়ে সে ভূমরি উপর । নানান কুটকৌশলে দখল করে নয়ে নতুন নতুন জগেে উঠা চর। জমি দখল নয়িে হয় রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষ। এক অশান্তরি দাবানল ছড়য়িে পড়ে উপকূল জুড়ে ।

সিকস্তি পয়স্তি কি? :- বেঙ্গল রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৮২৫ থেকে জানা যায়, কোনো ভূ-সম্পত্তি নদী বা সাগরে ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেলে তা ভূ-সম্পত্তির ভাঙন বা ‘সিকস্তি’ হিসাবে গণ্য হয়। অন্যদিকে, কোনো ভূ-সম্পত্তি নদী বা সাগরে বিলীন হওয়ার পর পুনরায় ‘পূর্বস্থানে’ জেগে উঠলে তা ‘পয়স্তি’ সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু নদী বা সাগরে ‘নতুন’ জেগে ওঠা চর প্রচলিত আইনানুযায়ী ‘খাসজমি’ হিসেবে সরকারের ১নং খতিয়ানভুক্ত হয়।

এলাকা পরিচিতি:- নোয়াখালী গেজেটের তথ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে, বঙ্গপসাগরের মোহনায় নোয়াখালী জেলাটি একটি ব-দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। নোয়াখালীর আদি নাম ছিল ভুলুয়া। ১৮২২ সালের ২৯ মার্চ ভুলুয়া পরগনার অধীনে এটি পত্তন হয়। প্রাক্তণ বাকেরগঞ্জ বা বরিশালের সঙ্গে ছিলো এর সংযুক্তি। দণি সাহবাজপুরও বলা হতো একে। কুমিল্লার সুধারাম, বেগমগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, বাকেরগঞ্জের দণি সাহবাজপুর ও উপকূলীয় অঞ্চল এবং চট্টগ্রামের হাতিয়া ও সন্দ্বীপ নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল। এর জেলা সদর স্থাপিত হয় নোয়াখালী মৌজায়।
১৯৫০-এর দশকে নোয়াখালী শহর সম্পূর্ণ নদীগর্ভে হারিয়ে গেলে বর্তমান মাইজদী কোর্টে এর সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে জেলা সদর মেঘনা নদীতে ভেঙ্গে আবার পত্তন হয়। বর্তমানে পুরাতন শহরটি একটি নতুন চরের নোয়াখালী ইউনিয়নের একটি মৌজা। যেখানে প্রাচীন শহরের চিহ্নটিও নেই। ১৯৮৪ সনে ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা গঠিত হলে নোয়াখালীর মধ্যে রাখা হয় ছয়টি থানা, সেগুলো হলো- চাটখিল, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, কোম্পানিগঞ্জ, হাতিয়া ও সদর। পরর্বতী কালে নোয়াখালী সদরকে ভঙ্গেে সুর্বণচর ও বগেমগঞ্জকে ভঙ্গেে সোনাইমুড়ি উপজলো নামে আলাদা দুটি উপজলো গঠতি হয়। পুরো জেলাটি ৩ হাজার ৬ দশমিক ৯৯ বর্গ কিলোমিটার, তার মধ্যে ৮’শ ৬ দশমিক ৪৯ বর্গকিলোমিটার নদী এবং ৫’শ ৪৫ দশমিক ৬৬ বর্গকিলোমিটার সৃজিত বনভূমি। নোয়াখালী জেলা ২২.০৭ ও ২৩.০৮ উত্তর আংশ এবং ৯০.৫৩ ও ৯১.২৭ দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
অভযিোগ রয়ছে,ে সেটেলমেন্ট অফিস এবং জরিপ বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রভাবশালীরা।
সরকারি জরিপ বিভাগের বিধান আছে কোন জায়গায় কতটুকু জমি কোন সময়ে ভেঙ্গে গেছে কিংবা জেগে উঠেছে অর্থাৎ শিকস্তি পয়স্তি জরিপ সার্বণিক করার। দিয়ারা জরিপ সবসময়ই চলার কথা। কিন্তু নানান কারণে নোয়াখালীতে এর সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। জোতদার ভূমিগ্রাসীরা এটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। এক সময় যা খাসমহল ছিলো সেই কাগজপত্রগুলো কিংবা কেএম খতিয়ানগুলো পাওয়া যায় না। প্রায় ক্ষত্রেে বালামের পাতা থাকে না কিংবা ছিঁড়ে ফেলে দেয়া হয়। বালাম বইয়ের পাতা ছেঁড়া হচ্ছে, কিন্তু এর জন্য কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে না। নদী থকেে যেখানেই জমি জগেে উঠছে সেখানেই একদল জোতদার তার মৌরসী জমি বলে দাবি করে বসে থাক।ে এ সংক্রান্ত কাগজও তৈরি করা হয়ে যায়। আবার এ সংক্রান্ত স্ব্যা আইনেরও জটিলতা আছে। আইনের দুর্বলতা কিংবা আইনের ফাঁক ফোকর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যবহার করছে ভুমিগ্রাসী প্রভাবশালীরা।

খাসজমি যেভাবে সিকস্তি করা হয় :- ভূমিহীনদের মাঝে বন্দবস্তকৃত খাসজমি আইনের ফাঁক গলিয়ে সিকস্তি পয়স্তি হিসেবে দখলের বহু নরিজ রয়েছে নোয়াখালী অঞ্চলে। দখো যায় কোনো এলাকায় ২০ জন ভূমহিীন এক বা দেড় একর করে জমি বন্দোবস্ত পলেো। তার কছিুদনি পর শরিক একজন সে জমি থকেে অদৃশ্য হয়ে যায়। আরো কছিুদনি পর দখো যায় ভূমিহীনরা কেউই সেখানে আর অবস্থান করেনা। বুঝা যায়, এই ভূমিহীনরাও থাকে সাজানো। কছিু ভাড়াটে ভূমহিীন জোতদারদরে পক্ষে এ সাজানো নাটকটি করে থাক।ে অন্যদকিে ভূমিহীনদের খাসজমি বন্টণের েেত্র কবুলিয়তে শর্ত থাকে যে, এই সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না। কথতি ভূমহিীন সম্পত্তিটা বন্দোবস্তের পরপরই জোতদারদরে কাছে নামমাত্র মূল্যে বক্রিি করে দয়িে যান। ভূমিগ্রাসী প্রভাবশালীরা বন্দোবস্তপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জমি রেজিষ্ট্রির নাম করে কিছু টাকা দিয়ে জমি থকেে উচ্ছদে করে দেয়। পরবর্তীতে এই জমিগুলো জাল দলিল করে মামলার মাধ্যমে মৌরসী জমি অর্থাৎ চরে জেগে ওঠা র্পূব পুরুষদরে পয়স্তি জমি হিসেবে দখল নয়ো হয়। এতে নানা মুখী সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসমস্যাগুলি লাঘবরে ক্ষত্রেে সরকার সময় সময় বভিন্নি প্রজ্ঞাপন জারী করে থাক।ে ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রনালয়রে দয়িারা/র্চচা প্রসঙ্গ,ে শাখা নং-২ নঙ ২-২/৮৭/৯০(১৯৬০) তারখি ১৯ মাঘ, ১৩৯৩/২-২-৮৭ বষিয়:-নদী সকিস্তি জমি পয়স্তি হলে অথবা নতুন জগেে উঠা চররে বন্দোবস্ত পদ্ধতি ’ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়ছেে , সরকার গভীর উদ্বগেরে সহতি লক্ষ করতিছেে য,ে বভিন্নি জলোয় নদী সকিস্তি জমি পয়স্তি হইবার পর র্সাভয়োর /আমনি কতৃক প্রস্তুতকৃত এবং কানুনগো কতৃক র্সাটফিকিটে প্রাপ্ত পুন:পুন: বদলকৃত র্চচাম্যপ দ্বারা খাস জমি বন্দোবস্ত দয়োর প্রক্ষেতিে আইন শৃঙ্খলা সমস্যার উদ্ভব হইতছে।ে সুতরাং এই ধরনরে ম্যাপ দ্বারা পয়স্তি জমি ও নতুন জাগয়িা উঠা চররে জমি বন্দোবস্ত দওেয়া অবলিম্বে বন্ধ করতিে হইব।ে দয়িারা সটেলেম্যান্ট দ্বারা প্রস্তুতকৃত ম্যাপ প্রকাশতি না হওয়া র্পযন্ত কোনো পয়স্তি খাস জমি ও নতুন জাগয়িা উঠা চররে জমি বন্দোবস্ত দওেয়া যাইবনো। যখনই কোনো নতুন চর জাগয়িা উঠবিে তখনই সংশ্লষ্টি জলো প্রশাসক অবলিম্বে বঙ্গেল র্সাভে এবং সটেলেমন্টে ম্যানুয়লে ১৯৩৫ এর ২৯৯ এবং ৩০০ ধারা অনুযায়ী উহা জরপিরে জন্য মহা-পরচিালক ভূমি রর্কেড ও জরপি অধদিপ্তররে নকিট প্রস্তাব পশে করবিনে এবং সইে প্রক্ষেতিে মহাপরচিালক বাৎসরকি জরপি র্কমসূচি গ্রহণ করবিনে এবং যথাশীঘ্র এ জরপি সম্পন্ন করা যায় জমি বন্দোবস্ত ততই সুগম হইব।ে এতকাল উদ্ভুত বভিন্নি সমস্যার পরমিান লাঘব পাইবে আশা করা যায়। ইহার ফলে নতুন জাগয়িা উঠা খাস জমি ভূমহিীন ও বত্তিহীনদরে মাঝে বন্টনরে ফলে র্আথসামাজকি সমস্যারও আংশকি লাঘব হইবে বলয়িা বশ্বিাস। এই নর্দিশে অমান্য করলিে দায়ী/ র্কমর্কতাদরে বরিুদ্ধে কঠোর শাস্তমিূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হইব।ে এই নর্দিশে অবলিম্বে বলবৎ হইব’ে। আদশেক্রম,ে কাজী সরিাজুল ইসলাম, যুগ্ম-সচীব। পরর্বতীতে ১২মে ১৯৯৭ তারখিে রাষ্ট্রপতরি আদশেক্রমে সচবি সয়ৈদ মাহবুব র্মোশদে স্বাক্ষরতি নীতমিালার ২৭.০ নং অনুচ্ছদেওে উল্লখে রয়ছেে 'নদী পয়োস্তি জমি ও চর ভূমরি ক্ষত্রেে দয়িারা জরপি না হওয়া র্পযন্ত এই সকল জমি ভূমি ব্যাবস্থাপনা ম্যানুয়ালরে বধিান অনুযায়ী ডসিআির এর ভত্তিতিে একসনা ইজারা দওেয়া হইব।ে’ এ ক্ষত্রেে ডসিআির বা ডুব্লকিটে র্কাবন রসিপ্টি এর মাধ্যমে প্রকৃত ভূমহিীন কৃষকদরে জমি বরাদ্ধরে কথা আছ।ে খাসজমি বন্দোবস্তরে ক্ষত্রেে এ সকল নীতমিালা করা হয়ছে।ে বার বার হাত নকসায় বন্দোবস্ত দয়ো হয়ছেে খাসজম।ি সে কারনে আজ একই জমরি ত্রমিূখী মালকিানা, বয়ার দাবী, ওয়াকফ ষ্টটে আইন, প্রশাসনরে নরিপক্ষেতা, অস্বচ্ছতা, বন্দোবস্তরে র্দীঘসূত্রতিা, চরাঞ্চলরে আইন শৃঙ্খলার অবনত,ি খুনখারাব,ি রাহাজানী, মানবাধকিাররে চরম লঙ্ঘন আর হাজার হাজার মথ্যিা মামলার কারণ। এ সমস্যা নোয়াখালীর সমগ্র উপকূল জুড়ে বস্তিৃত। ভূক্তভোগীরা অভযিোগ করে আসছ,ে এ ক্ষত্রেে প্রশাসনরে রয়ছেে খামখয়োলী আর অদুরর্দশীতা।

উপকূলে খাসজমরি পরমিান:- নোয়াখালীর উপকূল জুড়ে যে বপিুল খাসজমরি ভান্ডার গড়ে উঠছে তার সঠকি তথ্য কখনো করা হয়ন।ি ভূমরি একদকি নদী থকেে জাগলে অন্যদকিে তা আবার ভঙ্গেে যায়। ভূমরি এক অংশ ভাঙ্গলে গড়ে উঠে অন্য অংশ। তবে র্দীঘদনিরে র্পযবক্ষেনে দখো যায়, ভাঙ্গাগড়ার মহাযজ্ঞে জমরি পরমিান দনি দনি বৃদ্ধইি পাচ্ছ।ে ভূমি অফসি সূত্রে জানা যায়, গত পঞ্চাশ বছরে নোয়াখালীর দক্ষণিাংশে সমুদ্র থকেে প্রায় ২শ’৭০ র্বগকলিোমটিার নতুন ভূমি জলোর মূল ভূখন্ডরে সাথে যুক্ত হয়ছে।ে বন বভিাগ নতুন জগেে উঠা চর আবাদী করে গড়ে তোলার জন্য বশি বছররে চুক্ততিে বনায়ন করছ।ে সে হসিাবে তাদরে কাছে রয়ছেে ২লক্ষ ৩২হাজার ১শত ৫০দশমকি শূন্য ৬ একর জম।ি এর মধ্যে নোয়াখালী সদর ও সুর্বণচরে রয়ছেে ৯৭হাজার ৩২দশমকি ৫৯একর জম।ি কোম্পানীগঞ্জে ১২হাজার ২শত ৩২ দশমকি ৬৫একর, হাতয়িায় ১লক্ষ ২২হাজার ৮শত ১৮দশমকি ৬৫ একর ভূম।ি

ভূমি প্রাপ্ততিে ভোগান্ত:ি- ভূমহিীনদরে অজ্ঞতা অমলাতান্ত্রকি জটলিতা দালালদরে উৎপাত প্রতারণা ঘন ঘন নীতমিালা পরর্বিতন এবং ত্রুটপর্িূণ ব্যবস্থাপনার কারণে ভূমি বন্দোবস্তে র্দূনীতি বস্তিার লাভ করছ।ে এখানে টাকাই হয়ে উঠছে ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার প্রধান মাধ্যম। মাঠ র্পযায় থকেে প্রশাসনরে র্শীষ র্পযায় র্পযন্ত এ ব্যবস্থা বরিাজ করছে । যে পরবিারে বসত বাড়ি ও কৃষি জমি নইে কন্তিু পরবিারটি কৃষি নর্ভির তাকইে ভূমহিীন আখ্যা দয়ো হয়ছেে । একজন ভূমহিীনরে সরকারী খাস জমি পাওয়ার জন্য আবদেন পত্র হতে শুরু করে রজেষ্ট্রিি র্পযন্ত ধাপগুলো সর্ম্পকে কোনো আভজ্ঞিতা নইে এবং সরকারী ফি কত তাও তাদরে জানা নইে। এই নরিক্ষর অনভজ্ঞি ভূমহিীনদরে দ্বারস্ত হতে হয় স্থানীয় দালাল, টাউট , তহশীল ও ভূমি অফসিরে একশ্রণেীর র্কমচারীদরে উপর। এখান থকেইে ভূমহিীনদরে হয়রানি শুরু হয়। এক খন্ড জমি পতেে হলে ভূমহিীনদরে বহু ত্যগ ও কষ্ট সহ্য করতে হয় । অপক্ষো করতে হয় বছররে পর বছর । বভিন্নি জনরে কাছে র্ধণা দয়িইে কাজ শষে হয়না, চয়োরম্যন র্সাটফিকিটে নয়ো, আবদেন পত্র সংগ্রহ , ছবি তোলা যাতায়ত সহ প্রায় সব ক্ষত্রেইে ভূমহিীনদরে র্অথ ব্যয় করতে হয়। ভূমহিীনদরে ভূমি প্রাপ্তরি জন্য প্রথমইে ভূমি অফসিে নর্ধিারতি ফরমে আবদেন করতে হয। এই আবদেন পত্র সংগ্রহ করা থকেে শুরু হয় ভূমহিীনদরে ভোগান্ত।ি ভূমি অফসি তথা ভূমি মন্ত্রণালয় র্পযাপ্ত আবদেন পত্ররে ফরম সরবরাহ করনো। এ কারনে দুই টাকার আবদেন পত্র সংগ্রহ করতে খরচ হয় বশি টাকা থকেে ত্রশি টাকা । আনকে ক্ষত্রেে আরো অনকে বশেী খরচ হয় বলে ভূক্তভোগী ভূমহিীনরা অভযিোগ করছে।ে এরা আরো অভযিোগ করে ভূমি অফসি আবদেন পত্র আহ্বান করার পর পরই এলাকা ভত্তিকি দালাল ফরয়িা চক্র সক্রয়ি হয়ে উঠ।ে যথা সময়ে আবদেন করতে না পারার কারনে অনকে ভূমহিীন খাস জমি থকেে বঞ্চতি হয়ছে।ে ভূমহিীনরা প্রথমে ২২ কলামরে একটি আবদেন পত্রে আবদেন করতে বলা হয় , কন্তিু প্রাথমকি বাছাইয়রে পর আবার ১৬ কলামরে আর একটি আবদেন পত্র পূরণকরতে বলা হয়। এ এলাকার ভূমহিীনরা প্রায় নরিক্ষর তাদরে পক্ষে এটি একবোরইে দুরুহ কাজ। কন্তিু এ বষিয়ে কখনো কোনো প্রচারনা চালানো হয়ন।ি ভূমি অফসি জানায় নতুন নীতমিালায ১৬ কলামরে একটি ফরমপূরণ করার নয়িম সম্প্রতি বধ্যবাধকতা করা হয়ছে।ে ভূক্ত ভোগী ভূমহিীনরা জানায খাসজমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য ভুমি অফসিে প্রায় ২০টি টবেলি ঘুরতে হয়। প্রায় সব টবেলিে কছিু না কছিু উপরি বা ঘুষ না দলিে কোনো কাজ হয়না। অফসিরে এক শ্রণেীর র্দুণীতবিাজ র্কমর্কতাদরে মাধ্যমে একই জমি একাধকি ব্যাক্তরি নামে বন্দোবস্ত দয়োর অভযিোগ রয়ছে।ে ভূমহিীন কৃষকরো জানায়, জমি বন্দোবস্তরে জন্য যারা টাকা দয়িছেতাদরে নথি অনুমোদন হয় ঠকিই কন্তিু আবার সইে নথরি জমি বশেী টাকার বনিমিয়ে অন্যদরেকে দয়িে দয়োর নজরি রয়ছে।ে নোয়াখালীর বভিন্নি তহশীলে আনকে ভূমহিীন পরবিার খাস জমরি জন্য আবদেন করছেলিো কন্তিু বন্দোবস্ত পাওয়া ভূমহিীনদরে সংখ্যা সে তুলনায় অত্যন্ত কম। মাহফুজা খাতুন(৪৫) জানান, ইউনয়িন পরষিদরে আবু মাঝি জমি বন্দোবস্তরে জন্য ২০ টাকা করে নয়িছেনে। এরপর আরো ৫০০ টাকা চয়েছেলিো। তনিি আর দনেন।ি তনিি জানান অনকেইে দয়িছেনে। কন্তিু জমি পায়ন।ি যারা বশেী বশেী টাকা দয়িছেনে তারা কউে কউে জমি পয়েছেনে। আবার অনকেে কাগজ পত্র পয়েওে জমি দখলে পায়ন।ি তনিি জানান জমি পতেে কোথায় কত টাকা লাগে বা কি কি করতে হয় তা তনিি জাননেনা।

দালালদরে মাধ্যমে ভোগান্ত:ি- এলাকার এক শ্রণেীর দালাল চক্র অসহায় দরদ্রি ভূমহিীনদরে কাছ থকেে তাদরে শষে সম্বল টুকু হাতযিে নয়ে জমি দয়োর কথা বল।ে তারা ভূমি অফসিে তদ্বরি ও র্দুনীতরি মাধ্যমে জমি পাইয়ে দবোর ব্যবস্থা করে । তবে এ জন্য তারা র্শতও জুড়ে দয়ে । কোনো কোনো ভূমহিীনদরে সাথে চুক্তি হয় যদি তারা জমি পাইয়ে দতিে পারে তাহলে তবে তাদরেকে বনোমে র্অধকে জমি দয়িে দতিে হব।ে অসহায় ভূমহিীনরা একটুখানি জমি পাওয়ার আশায সব র্শত মনেে নয়ে। ভুমহিীন মাহফুজা খাতুন(৪৫) জানায়, এক সময় তাদরে হাতয়িায জায়গা জমি ছলিো। বশে কয়কে বছর আগে নদীতে ঘর বাড়ি ভঙ্গেে গলেে নানান যায়গা ঘুরে ছয় সাত বছর আগে চর মজিদরে আচকা কলোনীতে এসে ওয়াপদার বড়েরি পাশে একটি ঝুপরি ঘর তুলে বসবাস করছ।ে স্বামি আবু তাহরে(৫০) কৃষি কাজ করতনে এখন পঙ্গু অবস্থায় ঘরে বসে আছনে । কোনো কাজ করতে পারনো। বাহনিীর লোক বলে পরচিতি এক লটিন নামরে দালাল জমি পাইয়ে দয়োর কথা বলে দুই হাজার ছয় শত টাকা নয়িছে।ে এর পরওে সে আরও টাকা দাবি কর।ে আর টাকা দতিে না পারাতে লটিন জমওি দয়েন,ি টাকাও আর ফরিত দয়েন।ি কভিাবে কোথায় গলেে সরকারি জমি পাওয়া যাবে মাহ্‌ফুজা খাতুন এর কছিুই জাননেনা। কি ভাবে সরকারী খাস জমি পতেে হয় এবষিয়ওে তাঁর কোনো ধারনা নইে। জলোর বভিন্নি চরে জনবসতি গড়ে উঠার শুরু হতইে বভিন্নি রাজনতৈকি দলরে নতো ও স্থানীয় জোতদাররা চররে নয়িন্ত্রন করে আসছে বলে স্থানীয় অধবিাসীরা জানয়িছে।ে সরকার পরর্বিতনরে সাথে সাথে এই সব নয়িন্ত্রকদরে রাজনতৈকি পরচিয়ও পরর্বিতন হয়ে যায়। চররে অধকিাংশ মানুষ নদী ভাঙনে র্সবস্ব হারানো দরদ্রি পীড়তি অসহায় জীবন যাপন কর।ে সরকাররে ভূমি সংস্কার র্কমসূচীতে অধিকাংশ ভূমিহীন অর্ন্তভূক্ত। তাদরে শতকরা ২০ ভাগও সরকারী খাস জমতিে পুর্নবাসতি হয়ন।ি সরকার র্কতৃক বরাদ্ধকৃত খাসজমরি বন্দোবস্ত পয়েওে অনকে ভূমহিীন সে জমরি দখল বুঝে পায়ন।ি অন্যদকিে প্রভাবশালী মহল স্থানীয় প্রশাসনরে সহায়তায় চররে পর চর দখল করইে চলছে । ভূয়া দললি আর বয়ার দাবতিে প্রতনিয়িত তারা ভূমি গ্রাসরে অপ:তৎপরতায় লপ্তি রয়ছে।ে প্রচলতি নয়িম অনুযায়ী নদী বা সাগর র্গভে বলিনি হয়ে যাওয়া ভূমি সরকাররে খাস খতয়িান ভূক্ত জমি বলে ববিচেতি হয়। কন্তিু ১৯৯৪ সালে প্রজাসত্ব আইনরে একটি সংশোধনী পাশ করে এ নয়িম পরর্বিতন করা হয়ছেে ।এ আইনে বলা হয়ছেে কারো ব্যক্তগিত বা পারবিারকি জমি নদীতে ভঙ্গেে গলেওে ৩০ বছররে মধ্যে পয়স্তি হলে সে তা ফরিে পাবে । একটি বাম আন্দোলনরে নতো ও সমাজর্কমী দুলাল অভযিোগ করনে, প্রভাবশালী মহল ও জোতদাররা আইনরে এই সংস্কার কাজে লাগয়িে বয়ার দাবি নয়িে মাঠে নমেছে।ে অন্যদকিে ভূমহিীনরা বয়ার দাবি প্রতরিোধে আন্দোলন সংগ্রাম করছনে। এনয়িে প্রতনিয়িত এখানে রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষ লগেে আছ।ে চরবাসি জানায় স্বাধীনতার পর থকেে এ চর গুলোতে শত শত নারী পুরুষ ও শশিু জোতদারদরে হাতে নহিত হয়ছে।ে এর মধ্য সবচয়েে ভয়াবহ সংর্ঘষ হয়ছেে ভাটরিটকে।ে আশরি দশকে বভিন্নি যায়গা থকেে কয়কেশ পরবিার ভাটরিটকেে নতুন জগেে উঠা চরে মাথা গুঁজার জন্য আশ্রয় নয়িছেলিো। তারা খাস জমতিে বস্তি তুলে নতুন জমি আবাদী করতে শুরু কর।ে কন্তিু তখন স্থানীয় প্রভাবশালী জোৎদারদরে লাঠয়িাল বাহনিী রাতরে আন্ধকারে নরিহি ন:িস্ব ভূমহিীনদরে উপর ঝাঁপয়িে পড়।ে রাতর আঁধারে নৃশংসভাবে হত্যা করে অনকে নারী পুরুষ ও শশিুদরে। জ্বালয়িে দয়ে ভুমহিীনদরে বস্তগিুলো। সে ঘটনায় তখন পুলশি বাদি হয়ে মামলা কর।ে সে মামলায কয়জনরে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। সে সময়রে সে ঘটনা ভাটরিটকেরে হত্যাকান্ড বলে এখনো অনকেরে মনে ভয়াল স্মৃতি হয়ে বরিাজ করছ।ে স্থানীয় লোকমুখে সে এলাকাটি এখন পোড়াভটিা হসিাবে পরচিতি।

তথ্য কন্দ্রে: গ্রামাঞ্চলে তথ্য নয়িে কাজ করে এরকম একটি বসেরকারী উন্নয়ন সংস্থা ডভেলেপমন্টে রসর্িাচ নটেওর্য়াক বা ড-িনটে‍ ২০০৫ সনে নোয়াখালীর চর বাটায় পল্লী তথ্য নামে একটি তথ্য কন্দ্রে স্থাপন কর।ে এখানে এসে গ্রামরে বভিন্নি মানুষ নানান রকম তথ্য পয়েে থাক।ে এখানকার অফসি ম্যনজোর মো: কামাল উদ্দনি জানান সরকারী উদ্দ্যোগে কোনো প্রকাররে কোনো তথ্য এখানে এসে কউে জানায়ন।ি বা এ কন্দ্রে থকেে তাদরে কোনো তথ্য কখনো কাউকে জানাতওে বলনে।ি এখানে যা তথ্যআছে তা সবই সংস্থার নজিস্ব। এখানে জীয়ন তথ্য ভান্ডার নামে তথ্য সবোর ব্যাবস্থাও রয়ছে।ে গ্রামরে মানুষ এখানে এসে তথ্য পয়েে অনকে লাভবান হচ্ছনে। তনিি জানান, ভূমহিীনদরে ভূমি প্রাপ্তরি জন্য কোনো তথ্য পতেে আসতে দখো যায়না। এ ব্যপারে তাদরে কোনো সচতেনতাও নইে। এ বষিয়ে সরকারি কোনো উদ্যোগও দখো যায়না। গত আড়াই বছরে শতাধকি মানুষ ভূমি সংক্রান্ত বভিন্নি তথ্য নয়িছেনে কন্তিু এ কন্দ্রে থকেে খাস জমি পতেে তথ্যরে জন্য তমেন লোকজন আসনে।ি এ সংক্রান্ত তথ্য নয়িছেে মাত্র ২৫জন। তনিি আক্ষপে করে বলনে, আনকে সরকারী র্কমচারী র্কমর্কতা চান না ভূমি পাওয়ার সঠকি তথ্য ভূমহিীনরা পয়েে যাক। তবে তনিি জানান কউে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে চাইলে তাঁরা সংশ্লষ্টি অফসিে যোগাযোগ স্থাপন করয়িে দয়িে থাকনে। এ কন্দ্রেে ভূমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত ভূমি মন্ত্রণালয়রে প্রচারতি একটি পোষ্টার টাঙ্গানো রয়ছে।ে কন্তিু আর কোথাও এরকম পোষ্টার পরলিক্ষতি হয়ন।ি শবিচরণ গ্রামরে ভূমহিীন লক্ষীরাণী দাস(২৫) জানান তনিি ৮ম শ্রণেী র্পযন্ত পড়াশুনা করছেনে। এলাকার বভিন্নি ক্ষতে খমারে বদলা দয়িে কোনো রকমে আয় উর্পাজন করনে। তনিি জানান কছিুটা পড়ালখো জানলওে খাস জমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত কোনো তথ্য তনিি জাননেনা।

উপসংহার:- নোয়াখালীর দক্ষনিাংশে সাগর থকেে প্রতনিয়িত নতুন নতুন ভূমি জগেে উঠছ।ে অথচ সে ভূমরি সঠকি ব্যবহার কখনো করা হয়ন।ি এদকিে আশংকাজনক ভাবে ভূমহিীনদরে সংখ্যাও দনি দনি বড়েে যাচ্ছ।ে কোন এলাকায় কত জমি আছে তার সঠকি তথ্য ভূমহিীনদরে কাছে কখনো পৌঁছায়না। আর সে জমি গুলো নানান কায়দায় নানান ছল চাতুরতিে চলে যায় ভূমগ্রিাসীদরে কব্জায়। ভূমি নীতমিালায় স্পষ্ট বলা আছে খাসজমি পাওয়ার অগ্রাধকিার রয়ছেে একমাত্র ভূমহিীনদরে। অথচ অসহায় নরিক্ষর ভূমহিীনরা এর সুফল ভোগ করতে পারছনো। আবার এদরে রক্ত ঘামে আমাদরে গ্রামীণ কৃষি র্অথনীতি সচল রয়ছে।ে জাতী হসিাবে র্সবাঙ্গীন ভাবে আমরা অনকে পছিে পড়ে রয়ছে।ি দশেরে জনসংখ্যার প্রায় র্অধকে ভূমহিীন। দশেরে র্অধকে জনগণকে বাদ দয়িে আমাদরে সমৃদ্ধরি কথা ভাবা বাতুলতা মাত্র। ভূমি সংক্রান্ত সঠকি তথ্য ভূমহিীনদরে জানানো সরকাররে গুরু দায়ত্বি। সঠকি তথ্যরে ভত্তিতিে ভূমহিীনদরে কাছে সঠকি ভাবে খাসজমি বন্দোবস্ত দতিে পারলে কৃষি প্রধান এদশেরে সামগ্রীক র্অথনীতরি রুপ পরর্বিতন হয়ে যাবে তা আর কাউকে বলার অপক্ষো রাখনো।


মাহমুদুল হক ফয়জে
ফ্র-িল্যন্স সাংবাদকি
মোবাইল: ০১৭১১২২৩৩৯৯
ব-সধরষ: সযভড়বু@মসধরষ.পড়স

কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content)সম্পর্কে অংশগ্রহণমূলক জরিপ

কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content)
সম্পর্কে অংশগ্রহণমূলক জরিপ
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী একটি দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। নোয়াখালী সদরের প্রায় দুই তৃতীয়াংশই চর এলাকা। এখানে বাস করে সাধারন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের অধিকাংশই কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। তাছাড়াও দিনমজুর, রিক্সাশ্রমিক, জেলে প্রভৃতি পেশার মানুষ এখানে বাস করে। খুব কমসংখ্যক নারি কৃষি সহ বিভিন্ন কাজ করলেও তারা মূলত ঘরকন্যার কাজ করে থাকে। ঘর কেন্দ্রিক নানান কাজের সঙ্গেও এরা জড়িত। এইসব নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে শিক্ষার হার খুব কম। জীবনযাপন সম্পর্কে সচেতনতাও এদের তেমন নেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এরা বেশীরভাগ সময়ে সনাতন জ্ঞান, নিজস্ব ধারনা এবং আকাশের হাবভাব দেখে বুঝতে চেষ্টা করে। প্রায় ক্ষেত্রে এরা নিয়তির উপর নিজেদেরকে সমর্পন করে থাকে। তবে গত কয়েক বছরের বড় ধরনের ঝড় জলোচ্ছাস ও সাম্প্রতিক সিডরের কারনে এদের ভিতর কিছুটা সচেতনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এদের অধিকাংশের বাড়িতে রেডিও কিংবা টেলিভিশন নেই। তবে তারা স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে রেডিও টেলিভিশন থেকে খবরাখবর পেয়ে থাকে।
গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে অনেক গুলো বড় বড় ঝড় জলোচ্ছাস গর্কী সহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বয়ে গিয়েছিলো। সে দুর্যোগ গুলোতে প্রচুর প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ‘৫৮.’৬০, ও ‘৭০ এর জলোচ্ছাস এ অঞ্চলে ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলো। সে সময় এখানকার মানুষ কোনো মাধ্যম থেকে কেনো সংবাদই পেতোনা। সে সময়ের সরকার গুলোও ছিলো এব্যপারে একেবারেই উদাসীন।
নোয়াখালী সদরের সর্বদক্ষিনে হাতিয়া ষ্টিমার ঘাট ও অতিসম্প্রতি বয়ার চরের সর্বদক্ষিনে সমুদ্র উপকূলে ফেরী চলাচলের জন্য চেয়ারম্যান ঘাট নামক স্থানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন সংস্থার একটি পল্টুন স্থাপিত হয়েছে । এখানে হাতিয়া দ্বীপ ও নোয়াখালীর মূল ভূখন্ডের মধ্যে ফেরি যোগাযোগ রয়েছে । এ এলাকায় মেঘনার মোহনায় প্রচুর সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার ও ছোটছোট জেলে নৌকা এসে ভীড়ে থাকে । এই ফেরীঘাটের সুবাদে এখানে একটি জমজমাট বাজার গড়ে উঠেছে। এখানের অনেক জেলে জানিয়েছেন, তাদের অনেকেরই নিজস্ব কোনো রেডিও নেই। যারা চরের কাছাকাছি থেকে সাধারনত: মাছ ধরে থাকে। ছোট নৌকা নিয়ে তারা কখনো গভীর সমুদ্রে যায় না। কখনো কোনো দুর্যোগ দেখলে নদীর হাবভাব বুঝে সাবধানতা অবলম্বন করে। সারাদিন মাছ ধরা শেষে রাতে তারা চেয়ারম্যান ঘাটে কিংবা হাতিয়া ষ্টিমার ঘাটে আসলে লোকমুখে বিভিন্ন সংবাদ পেয়ে থাকে। নদীর কূলের এ বাজার গুলোতে এখন রেডিও তেমন শুনা হয়না। চা দোকান গুলোতে টেলিভিশন আছে । তাই সেখানে কাষ্টমারের ভীড় লেগে থাকে। যে দোকানে টেলিভিশন নেই সে দোকানে লোকজন তেমন যায় না। এসব দোকান গুলোতে বেশীর ভাগ সময় নাটক ও সিনেমা বেশী দেখা হয়। তবে দুর্যোগকালীন সময় সংবাদ বেশী দেখা হয়। এলাকার মানুষদের বদ্ধমূল ধারনা জন্মেছে যে, রেডিও টেলিভিশনে জাতীয় সংবাদ ছাড়া স্থানীয় সংবাদ প্রচারিত হয়না। তাই তারা খুব প্রয়োজনীয় তথ্য ও স্থানীয় সংবাদ গুলো লোকমারফত পেয়ে থাকে। তবে তা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হয়না। দুর্গম অঞ্চলের অনেক মানুষ জানিয়েছেন গত সিডরের সময় তারা লোকমুখে সংবাদ পেয়েছিলেন। সাগরের অবস্থা দেখে তারা সাগর থেকে ডাঙ্গায় চলে এসেছেন, তবে অনেকে উপরে সাগরের কাছাকাছি নিজেদের ঘরেই ছিলেন। অনেকেই নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।
জরিপের বিশ্লেষন: কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content) সম্পর্কে অংশগ্রহণমূলক জরিপ কার্য চালানোর সময় জানা গেছে, এরকম একটি সম্প্রচার কেন্দ্র সন্মন্ধে অনেকেরই ধারনা খুবই অস্পস্ট। এব্যপারে অনেকের কোনো রকম কোনো ধারনাই নেই। তবে বিষয়টি বুঝার পরে সবার মধ্যেই প্রচুর আগ্রহের সৃষ্টি হয়। তারা সকলেই মত দেন যে এরকম একটি কেন্দ্র এলাকায় খুবই প্রয়োজন।
নোয়াখালী জেলার সর্বদক্ষিনে সমুদ্র উপকূলের কয়েকটি এলাকায় মোট ২০জনের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। এখানে মাত্র দুজনের রেডিও এবং মাত্র এক জনের নিজস্ব একটি ছোট্ট টেলিভিশন ও রেডিও রয়েছে। তাদের অবশ্য খবর তেমন শুনা হয়না। রেডিওতে গান এবং টেলিভিশনে নাটক দেখা ও গানশুনা বেশী হয়। নারিদের শুধু নাটক ও গানই শোনা হয়। তবে পুরুষরা মাঝে মাঝে খবর শুনে থাকে। নারিদের মধ্যে খবর শুনার আগ্রহ খুব কম। গত সিডরের সময় পুরুষরা ১০০ শতাংশই রেডিও কিংবা টেলিভিশনে খবর পেয়েছেন কিন্তু ১০০ শতাংশ নারি বলেছেন তারা তাদের স্বামী কিংবা লোকমারফত খবর পেয়েছেন। ৮০শতাংশ বলেছেন তারা ঝড়ের পূর্বাভাষ পেয়ে নিজেদের জায়গায়ই অবস্থান করেন। এর কারণ হিসাবে তাঁরা বলেন বাড়ির নিরাপত্তা ও আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। যেমন সেখানে কোথাও পানি বা বাথরুমের ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে বিশেষ করে মেয়েদের খুবই অসুবিধা পড়তে হয়। তাই অনেকেই সেখানে যেতে তেমন আগ্রহী হয়না। নিয়তির উপরও তারা অনেকাংশে নির্ভরশীল। ১০০ শতাংশ বলেছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়কালে তাঁরা আবহাওয়ার সংবাদ শুনতে চান। ১০০ শতাংশ বলেছেন তাদের অনুষ্ঠান দেখতে সবচেয়ে বেশী আগ্রহ নাটকের প্রতি । তবে বাংলা সিনেমার প্রতিও তাদের আগ্রহ রয়েছে।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন, কমিউনিটি রেডিও স্থাপিত হলে শিক্ষার উপর সবচেয়ে বেশী অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন আনন্দের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা দেয়া উচিত। অন্য ৩০ শতাংশ জানিয়েছেন শাসন না করলে শিশুদের পড়াশুনা হয়না। তবে তারা এও জানিয়েছেন এর মাত্রা যেন অতিরিক্ত না হয়। এ বিষয়ে শিশুদের উপযোগী অনুষ্ঠান প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা তারা জানিয়েছেন। ১০০ শতাংশ জানিয়েছেন বয়ো:সন্ধিকালীন সময়ে মেয়েদের সমস্যা বিষয়ক সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান বিশেষ ভাবে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। সবাই মনে করেন এ ব্যপারে মেয়েরা এমন কি অভিভাবকরাও এ বিষয়ে তেমন সচেতন নন। এ নিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক দ্বিধা কাজ করে। অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা বোধ করেন। এথেকে মেয়েরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিষয়ে ১০০শতাংশ জানিয়েছেন মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, সাধারন রোগবালাই, ডায়রিয়া, খাদ্যে পুষ্টিমান, টিকা প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতা মুলক অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। তবে মাত্র এক জন এইড্‌স বিষয়ে অনুষ্ঠান করার কথা জানিয়েছেন। বাসস্থান বিষয়ে ৭৫শতাংশ জানিয়েছেন, ভূমি ও ভূমির অধিকার বিষয়ে নানান অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। অবশ্য এ ব্যপারে পুরুষরাই বেশী আগ্রহী। নোয়াখালীতে তাঁত শিল্পের তেমন কোনো প্রসার নেই। এবিষয়ে কারো তেমন কোনো আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি। তবে ১০০শতাংশই হস্তশিল্প ও নারিদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করার কথা বলেছেন। একজন মন্তব্য করেন এক সময় নোয়াখালীতে প্রচুর তাঁতের প্রসার ছিলো । কিন্তু কালের গর্ভে তা এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় স্থানে স্থানে যুগীপাড়া ছিলো। সেখানে লুঙ্গি গামছা শাড়ি এসব স্থানীয় ভাবে তৈরী হতো। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও এগুলো বাইরের জেলা গুলোতে চালান হতো। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে পারলে সেগুলো হয়তো আবার চালু হবে। আশা করা যায় এ থেকে তখন হয়তো এ এলাকার অনেক উন্নতি সাধিত হবে।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন কৃষিঋণ, সার, বীজ, উচ্চফলনশীল ধানের আবাদ, হাঁস মুরগি পালন, কীটনাশক ছাড়া সব্জী চাষ, খাদ্যে পুষ্টিমান ইত্যাদি বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করা প্রয়োজন।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যম হওয়া উচিত নাটক, কথিকা, জীবন্তিকা ইত্যাদির মাধ্যমে। এরা আরো জানিয়েছেন স্থানীয় ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচারিত হলে সবার কাছে তা গ্রহনযোগ্য হবে। এছাড়াও স্থানীয় ভাষায় নাটক, গান এবং স্থানীয় সমস্যা ও সমাধান ইত্যাদি বেশী বেশী প্রচার হওয়া দরকার বলে সবাই জানিয়েছেন।
উপসংহার:- সার্বিক জরিপে দেখা যায় এ এলাকার জন্য কমিউনিটি রেডিওর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দুর্গম এ অঞ্চলের মানুষ কাছের খবরটিও সঠিক ভাবে পায়না। কথায় কথায এলাকাবাসী জানায়, ‘‍ইরােক েবামায় মানুষ মরার খবর আমরা সাথে সাথে রেডিও টেলিভিশনে পাই কিন্তু পাশের গ্রামে মড়ক লেগে হাঁসমুরগী মারা গেলে আমরা তার খবর পাইনা‍ অথচ এটি আমাদের জন্য অধিকতর জরুরী’। এখানে এটি স্থাপিত হলে শুধু দুর্যোগকালীন সময়েই নয়, এ কেন্দ্র গ্রামীণ জনগণের সার্বক্ষনিক দিনযাপনের অনুসঙ্গ হয়ে থাকেব। স্থানীয় ভাষায় স্থানীয় আঙ্গিকে স্থানীয় সমস্যাদি বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচারিত হলে এটি জনগনের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং অধিক গ্রহনযোগ্যতা পাবে। এলাকায় সচেতনতা বাড়বে। উপকৃত হবে প্রান্তিক মানুষ।

মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ
ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক
মোবাইল: ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail: mhfoez@gmail.com